কলকাতা: দল বদল আইনে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদকে ফের দিল্লি তলব করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সূত্রের খবর, আগামী ১২ অক্টোবর তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির সামনে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। সেখানেই যাবতীয় বক্তব্য জানাতে হবে শিশিরকে।
আরও পড়ুন- দৈনিক সংক্রমণ কমলেও সুস্থতাও হ্রাস পেয়েছে, বঙ্গের কোভিড চিন্তার
এ প্রসঙ্গে প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমকে শিশির অধিকারী জানান, তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বেঁচে আছেন৷ প্রতিটা পদক্ষেপই চিকিৎসকের কথা মেনেই করবেন৷ তাঁরা অনুমতি দিলেই দিল্লি যাবেন৷ এদিকে, শিশিবের তলব প্রসঙ্গে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত দু’টি শুনানিতে আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু উনি আসেননি। আশা করব, ১২ তারিখ উনি থাকবেন। দলের তরফে আমি থাকব।’’
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। ২০২০ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দেন শিশির-পুত্র শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই থেকেই বদলাতে থাকে অধিকারী পরিবারের রাজনৈতিক সমীকরণ৷ অধিকারী পরিবারের সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হয় তৃণমূলের৷ আনুষ্ঠানিকভাবে শিশির বিজেপি’তে যোগ না দিলেও, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে সম্পূর্ণ বদলে যায় তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান৷ হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচারমঞ্চেও দেখা যায় তাঁকে। তৃণমূল ও অধিকারী পরিবারের বাগযুদ্ধে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি৷ এর পর বারে বারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি৷ বিধানসভা ভোটের পর দলত্যাগ বিরোধী আইনে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও অসুস্থতার কারণে এই সংক্রান্ত শুনানিতে উপস্থিত হননি শিশির৷ তবে দিল্লি গিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>