স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে ১৭ লক্ষ টাকা লুট, গ্রেফতার সংস্কৃতের শিক্ষক

স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে ১৭ লক্ষ টাকা লুট, গ্রেফতার সংস্কৃতের শিক্ষক

শিলিগুড়ি: স্কুলে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় গোটা রাজ্য৷ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীর নাম৷ ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে পর্ষদ এবং এসএসসির বিরুদ্ধেও৷ এবার সেই তালিকায় জুড়ছে স্কুলের শিক্ষকদের নাম। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগে আরও এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম পঙ্কজ বর্মন। তিনি শিলিগুড়ির বরদাকান্ত স্কুলের সংস্কৃতের শিক্ষক। শিলিগুড়ি থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে আমবাড়ি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে তিনি স্কুলে সংস্কৃত পড়ান।

আরও পড়ুন- ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কুন্তল ও তাঁর স্ত্রীর, অন্য কথা বলছেন মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’

এর আগে একই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আমবাড়ি হাইস্কুলের শিক্ষক সন্তোষ বর্মনকে। তিনিও শিলিগুড়ির বাসিন্দা। সন্তোষের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাটি করেন কোচবিহারের মাথাভাঙার বাসিন্দা বাপ্পা মালাকার। তিনি ২০১৬ সালে টেট পাশ করেন বলে দাবি৷ টেট পাশ করলেও চাকরি না পাওয়ায় উচ্চ প্রাথমিকে চাকরির সুযোগ পেতে তিনি টাকা দিয়েছিলেন সন্তোষ বর্মন নামে এক শিক্ষককে। প্রতারিত হয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। গ্রেফতার হন ওই শিক্ষক। শনিবার এই মামলা এক চাঞ্চল্যকর মোড় নেয়৷ 

বাপ্পার দাবি, বছর তিনেক আগে কোচবিহার জেলার শীতলকুচির বাসিন্দা সন্তোষ তাঁর কাছে এক এজেন্টকে নিয়ে আসেন। সন্তোষ জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের আমবাড়িতেই এক হাইস্কুলে বাংলা পড়ান। বাপ্পার অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন আমবাড়ি হাইস্কুলের ওই শিক্ষক৷ তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, বাপ্পার চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে প্যানেল বাতিল হতেই বাপ্পা বুঝে যান, এই চাকরি আর তিনি পাবেন না। এরপরই সন্তোষ বর্মনের কাছে ১৭ লক্ষ টাকা ফেরত চান।

গত ৯ জানুয়ারি সন্তোষ বর্মনের স্কুলের সামনে গিয়ে তাঁকে হাতেনাতে ধরেন বাপ্পা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই সন্তোষকে গ্রেফতার করে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ৷  সেই সন্তোষকে জেরা করেই এবার শিলিগুড়ির আরও এক স্কুলের শিক্ষককে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হল।