কুস্তির আখড়া থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন অধুনা রাজনীতির ‘নেতাজি’ মুলায়ন সিং যাদব

কুস্তির আখড়া থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন অধুনা রাজনীতির ‘নেতাজি’ মুলায়ন সিং যাদব

 লখনউ:  রাজনীতির আকাশে নক্ষত্রপতন৷ প্রয়াত উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব৷ কুস্তির আখড়া থেকে লখনউ-এর তখতে বসেছিলেন অধুনা রাজনীতির ‘নেতাজি’৷ তাঁর রাজনৈতিক সফর নিশ্চিত ভাবেই রোমাঞ্চকর৷

আরও পড়ুন- প্রয়াত উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব, বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর

 ১৯৩৯ সালের ২২ নভেম্বর সুঘর সিং যাদব এবং  মূর্তি দেবীর ঘরে জন্ম হয় মুলায়ম সিং যাদবের। তাঁর পৈতৃক ভিটে ছিল অধুনা উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার সাইফাই গ্রামে৷ সেখানকার স্কুলেই পড়াশোনা৷ স্কুলের পাঠ শেষে ইটাওয়ার ‘কর্মক্ষেত্র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ’ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক। শিকোহাবাদের ‘একে কলেজ’ থেকে বিটি এবং আগরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিআর কলেজ’ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন মুলায়ম। ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতির সংস্পর্শে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো। কথ্য ভাষায় অসাধারণ বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতাই তাঁকে আলাদা পরিচিতি এনে দেয়। তবে তাঁর প্রথম প্রেম ছিল কুস্তি।

১৯৬২ সালে কুস্তির আখড়া থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর রাজনীতির যাত্রা। সেই সময় রাজ্য জুড়ে বিধানসভা ভোটের জোর প্রচার চলছে৷  যশবন্তনগরের একটি গ্রামে কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন মুলায়মও। তা দেখতে হাজির হন সংযুক্ত সোশালিস্ট পার্টির টিকিটে ভোটে দাঁড়ানো নত্থু সিং। কুস্তি শুরু হলে পালোয়ানের প্যাঁচ দেখাতে থাকেন মুলায়ম৷ একের পর এর পালোয়ানকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। মুলায়মের কুস্তির প্যাঁচ দেখে মুদ্ধ হন যৌবনে কুস্তি লড়া নত্থু৷ 

মুলায়মকে দেখেই ভালো লেগে গিয়েছিল তাঁর৷ মাথায় হাত রাখেন নত্থু। গুরু-শিষ্যের সম্পর্কের শুরু সেখান থেকেই৷ ১৯৬৭ সালে যশবন্তনগর থেকে ভোটে লড়েন মুলায়ম৷ টিকিট দেয় সংযুক্ত সোশালিস্ট পার্টি৷ তবে থেকেই সংসদীয় রাজনীতিতে পথচলা শুরু তাঁর৷ ১৯৮৯-তে প্রথম বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন৷ ততক্ষণে তিনি গড়ে তুলেথেন সমাজবাদী পার্টি৷ ৯৬-এ লোকসভা ভোটে জিতে দেবগৌড়া মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলান৷ ২০০৩ সালে আবার ফেরেন লখনউ-এর মসনদে।