প্রয়াত উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব, বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর

প্রয়াত উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব, বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর

লখনউ: প্রয়াত উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব৷ বয়স হয়েছিল ৮২ বছর৷ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতীয় রাজনীতির দ্বিতীয় ‘নেতাজি’ মুলায়ম৷ একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি৷ সোমবার সকালে সেই লড়াইয়ে ইতি৷ ভারতীয় রাজনীতিতে নক্ষত্রপতন৷  তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া জাতীয় রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন- আচমকাই বাজারে অর্থমন্ত্রী! নিদের হাতে বেছে কিনলেন সবজিও, দর বুঝতেই কি বাজারে নির্মলা?

বিগত দু’বছর ধরে ভুগছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদব৷ শারীরিক সমস্যাার কারণে দলের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকেও সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি৷ ২ অক্টোবর শারীরিক অসুস্থতা বাড়ায় তাঁকে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন সন্ধ্যাতেই তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। খবর পেয়েই স্ত্রী ডিম্পলকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন ছেলে অখিলেশ যাদব। খবর পেয়ে চলে আসেন ‘নেতাজি’র অন্যান্য কাছের লোকজনও৷ সমাজবাদী পার্টির টুইটার হ্যান্ডলে জানানো হয়,  ‘নেতাজি’র অবস্থা স্থিতিশীল।’ তবে সোমবার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়৷ বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা জানান, মুলায়মজির অবস্থা সঙ্কটজনক। এর পর আর পরিস্থিতি পাল্টায়নি। জীবনের লড়াইয়ে হার মানেন সপা সুপ্রিমো৷

দায়িত্বভার কমালেও শেষদিন পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টিতে তাঁর কথাই ছিল শেষ৷ এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মুলায়ম৷ সেই সময়ও তাঁকে আইসিইউ-তে রেখে পর্যবেক্ষণ করেন চিকিৎসকদের একটি দল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৮৩ বছরের প্রবীণ নেতার একাধিক সমস্যা ছিল। মূত্রনালিতেও সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল৷ তাঁকে সুস্থ করে তোলার বহু চেষ্টা হয়। কিন্তু তারপরও ব্যর্থ হন চিকিৎসকরা।  

১৯৩৯ সালের নভেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ায় জন্ম মুলায়ম সিং যাদবের।  পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল বরাবরের৷ শুধুমাত্র রাষ্ট্রবিজ্ঞানেই ছিল তিন-তিনটি ডিগ্রি৷ প্রথম জীবনে শিক্ষকতাও করেছেন৷ সেখান থেকেই রাজনীতিতে পদার্পণ এবং তিনবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও হন৷  ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ এবং ২০০৩ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত দায়িত্ব সামলান। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ‘নেতাজি’ ছিলেন কেন্দ্রের দেবেগৌড়া সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ১৯৯৬ সালেই প্রথম বার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৪ সালে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর আসনে৷ তাই আর লোকসভা ভোটে দাঁড়াননি। ২০০৯ সাল থেকে আমৃত্যু সংসদের সদস্য ছিলেন এই যাদব নেতা৷