‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় CBI তদন্তে একেবারেই উদ্বিগ্ন নয় তৃণমূল, অবস্থান স্পষ্ট মুখপত্রে

‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় CBI তদন্তে একেবারেই উদ্বিগ্ন নয় তৃণমূল, অবস্থান স্পষ্ট মুখপত্রে

fa7dc489d3e75391b66412d1157c76ce

কলকাতা:  ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তৈরি করা হয়েছে সিট৷ কিন্তু হাই কোর্টের এই রায়ে একেবারেই উদ্বিগ্ন নয় তৃণমূল কংগ্রেস৷ এমনটাই উল্লেখ করা হল দলীয় মুখপত্রে৷ 

আরও পড়ুন- পরিবার পিছু মাসে ৭,৫০০ টাকা দিতে হবে কেন্দ্রকে, দাবি মমতার, সমর্থন বিরোধীদের

প্রসঙ্গত, খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু, ধর্ষণের মতো গুরুতর ঘটনাগুলির তদন্তের দায়িত্ব সিবিআই-এর হাতে দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে ‘অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ’ মামলাগুলি দেখবে সিট৷ এই দলে রয়েছেন পুলিশকর্তা সৌমেন মিত্র, সুমনবালা সাহু, রণবীর কুমার৷ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করবে সিট৷ এই রায় বেরনোর পর শনিবার তৃণমূলের মুখপত্রে সম্পাদকীয় কমলে লেখা হয়, ‘‘নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস নিয়ে একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছেন। রায় ইতিমধ্যে সবাই জানেন। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া এবং একাংশের মিডিয়ার প্রাথমিক উপস্থাপনায় বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বড় বড় কথা নজরে আসছিল। আমরা বলেছিলাম, শীর্ষনেতৃত্ব দেখছেন। গোটা রায় খতিয়ে দেখে জানানো হবে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব যা বলার যথাসময়ে বলবেন। আইনেও যা যা করণীয় করা হবে। কিন্তু এটুকু আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি তৃণমূল এতটুকু উদ্বিগ্ন নয়।’’ 

আরও পড়ুন- সোমবারই সম্ভবত তৃণমূলে শিখা মিত্র, জল্পনা তুঙ্গে

মুখপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে ‘ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস’-এর ঘটনায় খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরাও৷ তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ বরং তদন্ত হওয়া উচিত৷ তাঁদের কথায়,  জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছে তা  বিজেপি’র দলীয় ইস্তেহার। পাশাপাশি কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকেও৷ বলা হয়েছে, ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছিল পুলিশ৷ সেই সময় কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে তার দায় কমিশনের৷ রাজ্য সরকারের নয়৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *