কলকাতা: ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু নীলবাড়ি দখলে একুশের ভোট ময়াদানে ফের সৈনিক করা হয় তাঁদের৷ তাঁরা দলকে নিরাশ করেননি৷ দু’জনেই জিতেছেন বিধানসভা ভোটে৷ কিন্তু জিতার পরেও বিধানসভা নয়, বরং মানুষের সেবায় লোকসভাতেই আস্থা রাখছেন নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার৷ আর সে কারণেই দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ ছাড়তে চলেছেন তাঁরা৷ জানা গিয়েছে তাঁদের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছেন দলীয় নেতত্বও৷
আরও পড়ুন- মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকালের মেয়াদ বাড়াতে চিঠি
জানা গিয়েছে নিশীথ ও জগন্নাথের এই আর্জি খতিয়ে দেখার পরেই শীর্ষ নেতৃত্ব তাতে সম্মতি জানিয়েছেন৷ তাই তাঁদের ছেড়ে যাওয়া আসনে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ একুশের বিধানসভা ভোটে যে চার সাংসদকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে বাকি দু’জন হলেন হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ তবে লকেট এবং বাবুল দু’জনেই পরাজিত হয়েছেন৷ মান রেখেছেন নিশীথ এবং জগন্নাথ৷ দিনহাটা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহকে হারিয়ে জয়ী হন নিশীথ প্রামানিক আর শান্তিপুর থেকে জয়ী হন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার৷ ভোটে জিতলেও বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক হিসাবে শপথ নেননি তাঁরা কেউই৷ কারণ শপথ নিলেই দু’ সপ্তাহের মধ্যে সাংসদ পত থেকে ইস্তফা দিতে হবে তাঁদের৷
এদিকে খড়দহ কেন্দ্র থেকে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাজল সিংহের মৃত্যুর পর সেখানেও উপ নির্বাচন হবে৷ আবার নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ায় যে কোনও কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও৷ অন্যদিকে ছয় মাসের মধ্যে যে কোনও কেন্দ্র থেকে জিতিয়ে আনা হবে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকেও৷ ফলে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করেও উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতির ময়দান৷