উদ্বৃত্ত ভ্যাকসিন ফেরত চাইল রাজ্য, বেসরকারি ক্ষেত্রে অনিশ্চিত দ্বিতীয় ডোজ

উদ্বৃত্ত ভ্যাকসিন ফেরত চাইল রাজ্য, বেসরকারি ক্ষেত্রে অনিশ্চিত দ্বিতীয় ডোজ

কলকাতা: টিকাকরণ নিয়ে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নয়া গাইডলাইন পাঠাল সরকার৷ ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ৩০ এপ্রিলের পর ভ্যাকসিনের সমস্ত পুরনো স্টক সরকারকে ফেরিয়ে দিতে হবে৷ 

আরও পড়ুন- করোনা কাঁটা: আপাতত হাজিরা নয়, পাঠানো হবে না নোটিশ! জানালো সিবিআই-ইডি

ইতিমধ্যেই টিকারণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১ মে থেকে বেসরকারি হাসপাতালে যে টিকাকরণ হবে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন, উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে কিনে নিতে হবে৷ অর্থাৎ এতদিন সরকার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে যে ভ্যাকসিন পাঠাত, তা আর পাঠানো হবে না৷ পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে যে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টিকা দেওয়ার পর যে ভ্যাকসিন অবশিষ্ট থাকবে বেসরকারি হাসপাতালগুলির ভাঁড়ারে, তা ফেরত দিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে৷ অর্থাৎ ৩০ এপ্রিলের পর উদ্বৃত্ত ভ্যাকসিন সরকারের ঘরে ফেরত পাঠিয়ে দিতে হবে৷ পুরনো টিকা নিয়ে ১ মে’র পর টিকাকরণ কর্মসূচি চালানো যাবে না৷ এর জন্য যদি টিকাকরণ পক্রিয়া বন্ধ করে দিতে হয়, তাহলে সেই মর্মে আগেই নোটিশ জারি করতে হবে৷ জানিয়ে দিতে হবে, তাদের হাতে টিকা নেই, তাই টিকাকরণ কর্মসূচি চালানো যাচ্ছে না৷ গোটা বিষয়টি নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- শুধু বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা নয়, কঠোর ভাবে তা প্রয়োগ করতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

পাশাপাশি এটাও বলে দেওয়া হয়েছে, ১ মে থেকে যে টিকাকরণ হবে, সেই টিকা বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সরাসরি কিনে নিতে হবে৷ এর ফলে যাঁরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ২৫০ টাকায় নিয়েছেন এবং দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁরা আর ২৫০ টাকায় দ্বিতীয় ডোজ পাবেন না৷ দ্বিতীয় ডোজ তাঁদের নতুন দামে কিনতে হবে৷ বিনা পয়সায়া টিকা পেতে চাইলে সরকারি হাসপাতালে যেতে হবে তাঁদের৷ উল্লেখ্য,  কোভ্যাক্সিনের দাম ১২০০ টাকা এবং কোভিশিল্ডের দাম ৬০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে৷ অর্থাৎ এই দামেই এবার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা কিনতে হবে৷

এই নির্দেশিকায় স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি৷ টিকা কেনার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোনও সহযোগিতা করবে কিনা, তা চিঠি দিয়ে জানতে চাইবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি৷ এছাডাও টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা কিন্তু সিরিঞ্জ প্রস্তুত করে না৷ তা আলাদা সংস্থা করে৷ এই মুহূর্তে কেন্দ্রও রাজ্য সরকারকেই তারা সিরিঞ্জ সরবরাহ করছে৷ তাই টিকা কিনলেও কোথা থেকে সিরিঞ্জ কিনবে তা নিয়েও সমস্যায় পড়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 5 =