কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন৷ তবে শুধু বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেই হবে না, নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সকল আধিকারিকদের কড়া ভাবে তা প্রয়োগ করতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় এমনটাই জানাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- করোনাকালে বিজয় মিছিলে ‘না’, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের
কোভিড পরিস্থিতিতে প্রচার বন্ধ সংক্রান্ত মামলার শুরুতেই এদিন কমিশন জানায়, তারা আগামী ২ মে সমস্ত বিজয় মিছিল বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করেছে৷ অন্যদিকে এই মামলায়, হাসপাতালে কতগুলি বেড, কত অক্সিজেন রয়েছে, সেই তথ্য সহ যাবতীয় বিষয় রাজ্যকে জানতে হবে বলে আবেদন করেন মামলাকারী৷ আগামী সোমবার রাজ্য আদালতে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে৷
উল্লেখ্য, মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরেই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন৷ গতকাল আদালত জানিয়েছিল, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী একমাত্র নির্বাচন কমিশন। কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত’। এর পরেই আজ কমিশন তাদের নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এবার ফল ঘোষণার দিন বা তার পরের দিন কোনও ভাবে বিজয় মিছিল করা যাবে না৷ ভোট গণনার পর রিটার্নিং অফিসারের কাছে জয়ী প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধির সঙ্গে দুজন এসে শংসাপত্র নিতে পারবেন৷ তার বেশি লোক আনা যাবে না৷
আরও পড়ুন- ‘একদম যাবি না’! মমতার নির্দেশেই কি CBI দফতরে হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত?
তবে শুধু বাংলায় নয়, বাকি চার রাজ্য অর্থাৎ তামিলনাড়ু , কেরল, অসম ও পন্ডিচেরিরতেও ভোটের ফল ২ মে ঘোষণা করা হবে৷ ওই রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ অর্থাৎ কোনও রাজ্যেই বার করা যাবে না বিজয় মিছিল৷