শুভেন্দুর জনসংযোগ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড’ নন্দীগ্রাম

শুভেন্দুর জনসংযোগ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড’ নন্দীগ্রাম

নন্দীগ্রাম: শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ঘিরে উত্তাল নন্দীগ্রাম৷ কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া, কালীচরণপুর এবং ভুতারমোড়ে৷ তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকদের তুমুল সংঘর্ষে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে৷ 

আরও পড়ুন-  ‘মমতা ব্যানার্জি মানুষের এনার্জি, পালিয়ে যায় না’, বার্তা দিলেন ‘দিদি’

এদিন জনসংযোগ কর্মসূচি চলার সময় বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে গো ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা৷ তুমুল বিক্ষোভের মাঝে এলাকা ছাড়ে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়৷ তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি হয়৷ হাতে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে দুই পক্ষ৷ আবার কালীচরণপুরে শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছনোর আগেই সভাস্থল ভাঙচুরও করা হয়৷ তিন এলাকায় দুই দলের সংঘর্ষে রক্তারক্তি কাণ্ড বাধে৷ দুই তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটানো হয়েছে বলে অভিযোগ৷ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বেশ কয়েকজনকে৷ উত্তপ্ত কর্মী সমর্থকদের সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে৷ 

এদিকে ঘাটালে প্রচারে নামায় লাঠিপেটা করা হল বিজেপি’র প্রার্থী শীতল কপাটকে৷ তাঁর অভিযোগ, প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি৷ যদিও এ বিষয়ে এখনও শাসক দলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ তবে আজ সকাল থেকে নন্দীগ্রাম থেকে ঘাটল, দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়৷ সোনাচূড়ায় বাঁশ, লাঠি হাতে একে অপরের দিকে তেড়ে যায় দুই দলের কর্মীরা৷ 

এদিনের ঘটনার পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমাকে এত ভয় পাচ্ছে কেন? আমি তো অনুমতি নিয়ে ঘুরছি৷ সব বুথে যাচ্ছি৷ মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে৷ এসব করে কোনও লাভ হবে না৷ যাদের সঙ্গে জনসমর্থন নেই তারাই গন্ডোগোল করে৷’’ 

আরও পড়ুন- কফি হাউজে ঢুকেও গুণ্ডাগিরি করছে বিজেপি’র বহিরাগত গুণ্ডারা, হুঙ্কার মমতার

অন্যদিকে পূর্ণেন্দু বসু বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন৷ ১ এপ্রিল তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দেবেন৷ বিজেপি প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে প্ররোচনা দিচ্ছেন৷ পাড়ায় পাড়ায় ঢুকে মানুষকে অপমান করছেন৷ মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়েছে৷ এটা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার৷ আমাদেরও কেউ কালো পতাকা দেখাতে পারে৷ তা বলে আমরা, পুলিশ বা কেন্দ্রীয়বাহিনীকে লেলিয়ে দেব না কর্মীদের উপর আক্রমণ করার জন্য৷’’

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বক্তব্য, ‘‘কালীচরণপুর, সোনাচূড় এলাকায় সকাল থেকে অশান্তি হচ্ছে৷ আজ শুভেন্দু অধিকারীর জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল৷ ওঁনার সঙ্গে আমিও মানুষের আশীর্বাদ নিতে এসেছিলাম৷ কিন্তু তৃণমূলের গুণ্ডারা আমাদের উপর হামলা করেছে৷ মানুষ এর জবাব দেবে৷’’  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *