নন্দীগ্রাম: হাতে আর ২৪ ঘণ্টাও নেই৷ শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় দফা ভোটের কাউন্টডাউন৷ ভোট শুরুর প্রাক মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা নন্দীগ্রামের ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ডে’৷ রাত পোহালেই সম্মুখ সমরে নামবেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে ‘ব্যাটেল’ শুরু হওয়ার আগেই স্তব্ধ ইন্টারনেট, বেলাগাম সন্ত্রাসের ইঙ্গিত?
তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু বিজেপি’তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বঙ্গ রাজনীতির পারদ বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে৷ আর এই কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি প্রার্থী হতেই হাইভেল্টেজ নন্দীগ্রাম৷ এই কেন্দ্রে সুষ্ঠ ভাবে ভোট করানো নির্বাচন কমিশনের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বিশেষ করে যখন বারবার নন্দীগ্রামে বহিরাগত গুণ্ডা প্রবেশের অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
নন্দীগ্রামে প্রবেশ পথে চলছে নাকা চেকিং৷ পাশাপাশি ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে চালানো হচ্ছে নজরদারি। বহিরাগত ও অপরিচিত প্রত্যেক ব্যক্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাইরে থেকে আসা প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে৷ গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করা হচ্ছে৷ প্রবেশ পথে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন জায়গায় চলছে রুট মার্চ৷ নন্দীগ্রামে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় কড়া নিরাপত্তাজালে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷
আরও পড়ুন- “মুসলিম ভোট নির্ভর মমতা, গুঁতিয়ে দেওয়া দরকার”, হুঙ্কার আব্বাসের
আগামীকাল ভোটের জন্য গোটা নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয়েছে। ভোটের আগের দিন বুধবার সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামের সমস্ত বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই নিরাপত্তা-ব্যবস্থা অতি সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে আজ সকাল থেকেই৷ প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধে ৬টা থেকেই এখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷ ফলে কোনও জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না৷