‘সাড়া রাত ভোঁ ভোঁ শব্দ, খুব মশা কামড়াচ্ছে’‌, তিহাড়ে ঘুম উড়েছে অনুব্রতর

‘সাড়া রাত ভোঁ ভোঁ শব্দ, খুব মশা কামড়াচ্ছে’‌, তিহাড়ে ঘুম উড়েছে অনুব্রতর

 নয়াদিল্লি: গরু পাচার মামলায় গ্রফতার অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা এখন দিল্লির তিহাড় জেল৷ এই জেলেই বন্দি রয়েছেন তাঁর একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং গরু পাচার মামলার কিংপিন এনামূল হক৷ কিন্তু তিহাড় জেলে এসে ঘুমাতেই পারছেন না কেষ্ট। প্রথম রাতে বারবার ঘুম ভেঙেছে তাঁর৷ কানের সামনে মশার ভোঁ ভোঁ শব্দ। মশার উৎপাতে ঘুম একেবারে পণ্ড। তার উপর মিলছে না বাঙালি খাবার৷ অনুব্রতর অগাধ সম্পত্তির হদিশ মিললেও তিনি কোনও দিনই বিলাসবহুল জীবন কাটাননি৷ তাঁর কাছে ভালো খাওয়া মানে আলু পোস্ত, আরও ফুলকপি দিয়ে খাসির মাংস! তাঁর কথায়, সেটা নাকি খেতে ‘টেরিফিক’৷ কিন্তু তিহাড়ে মিলছে না মাছের ঝোল-ভাত৷  আলু পোস্ত কিংবা পোস্তর বড়া তো দূরস্ত। তিহাড়ে খাওয়া মানে তাওয়া রুটি, মোটা চালের ভাত, পেঁয়াজ–রসুনের ফোড়ন দেওয়া উত্তর ভারতীয় ডাল, বাঁধাকপির ঘ্যাঁট৷ যা মুখে তুলতে পারছেন না বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তার উপর মশার উপদ্রবে উড়েছে ঘুম৷

আরও পড়ুন- ফের কোভিড সংক্রমণের বাড়াবাড়ি দেশে, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশকুমার শর্মার বেঞ্চে রয়েছে অনুব্রতর জামিনের মামলার শুনানি৷ কিছুদিন আগে ইডির হাতে গ্রেফতার, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের জারি করা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট এবং ওই আদালতের এক্তিয়ারকে একসঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা।  গরু পাচার মামলায় দু’‌দফায় ১৪ দিন ইডি হেফাজতে থাকার পর মঙ্গলবারই তিহাড়ে এসেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জেল নম্বর ৭–এ। কিন্তু সেখানে এতই মশা যে দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না। বুধবার মাথা গুনতির সময় অনুব্রতর সঙ্গে দেখা হয় সায়গল হোসেন এবং অন্যান্যদের। সেই সময়ই তিনি মশার কামড়ের বিষয়টি জানান বলে সূত্রের খবর৷ 

এদিকে,অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে দড়ি দেওয়া পাজামা পরতে দেওয়া হয়নি। বদলে তাঁকে বলা হয়েছে, ইলাস্টিক দেওয়া পাজামা পরতে। অন্যদিকে, 
অনুব্রতর দেশি টয়লেটে বসতে অসুবিধা হয়। তাই তাঁকে ওয়েস্টার্ন টয়লেট বা কমোড ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বসেই জেল সূত্রে খবর। তবে কোনও ওষুধ নিয়ে জেলে ঢুকতে পারেননি তিনি৷  শুধু প্রেসক্রিপশন নিয়ে যেতে হয়েছে। জেল অথরিটি জানিয়েছে, জেলের মধ্যে ডিসপেনসারিতে গিয়ে তাঁর প্রেসক্রিপশন দেখাতে। ডাক্তারবাবু পরামর্শ দিলে জেলের ফার্মেসি থেকেই যাবতীয় ওষুধ পাবেন তিনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =