চন্দনার বাড়িতে মহাভোজ মিঠুনের, শালপাতার থালায় আলুপোস্ত-ভাত খাওয়ালেন বিধায়ক

চন্দনার বাড়িতে মহাভোজ মিঠুনের, শালপাতার থালায় আলুপোস্ত-ভাত খাওয়ালেন বিধায়ক

442013074d8d7b77d1da875f986c96e2

বাঁকুড়া: পাঁচ দিনের রাঢ়বঙ্গ সফরে বেরিয়েছেন বিজেপি’র তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী৷ পুরুলিয়া ঘুরে সফরের দ্বিতীয় দিনে পৌঁছলেন বাঁকুড়া৷ তারপর কেলাই গ্রামের এবড়ো খেবড়ো কাঁচা রাস্তা দিয়ে লাল ধুলো উড়িয়ে শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনার বাড়িতে পৌঁছলেন তাঁর স্বপ্নের নায়ক৷ সেখানেই পাত পেড়ে খেলেন ‘মহাগুরু’৷ এ যেন স্বপ্ন৷ স্বয়ং মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর বাড়িতে এসেছেন, তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না চন্দনা৷ গাড়ি থেকে নামতেই মিঠুনকে ফুলের মালা, উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান গ্রামের মহিলারা। নিজের হাতে ‘মহাগুরু’র পছন্দের আলু পোস্ত রেঁধে খাওয়ালেন বিধায়ক৷ সঙ্গে যোগ করলেন আরও ব্যঞ্জন৷ 

আরও পড়ুন- স্কুলের ভোটে তৃণমূল নেতা-ঘনিষ্ঠদের ‘তাণ্ডব’, কেঁদে ফেললেন প্রধান শিক্ষক

বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের দুর্লভপুরের একটি বেসরকারি লজে সাংগঠনিক বৈঠকের ফাঁকে চন্দনার বাড়িতে হাজির হন মিঠুন৷ সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার৷ সাধ্যমতো আতিথেয়তার বন্দোবস্ত করেছিলেন চন্দনাও। সকাল থেকে নিজের হাতে অনেক পদ রান্না করেন শালতোড়ার বিধায়ক।  তার পর সাংগঠনিক বৈঠকে অংশও নেন। তখন আবার হেঁশেল সামলান তাঁর দুই বোন বন্দনা ও জন্নি বাউড়ি। এদিন দুপুরে ‘মহাগুরু’র পাতে চন্দনা সাজিয়ে দেন ভাত, ডাল, পাঁচমেশালি তরকারি, মাছ আর নায়কের প্রিয় আলু পোস্ত। খেতে খেতেই মিঠুন বলেন, ‘‘এই খাবারে ভালোবাসা মিশে রয়েছে। এই খাবার এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। এটাই আমার পছন্দের খাবার। চন্দনা নিজের হাতে শালপাতার থানা বানিয়ে তাতে আমায় খেতে দিয়েছে।’’

এদিকে ‘মহাগুরু’কে খাওয়াতে পেরে ধন্য মনে করছেন চন্দনা। তাঁর কথায়, ‘‘ছোটবেলায় যাঁকে টিভির পর্দায় দেখেছি, তাঁকে নিজের হাতে খাওয়াব ভাবতে পারিনি। নিজের হাতে তাঁকে খাবার পরিবেশন করে আমি ধন্য।’’