‘আমিও দেখতে চাই নন্দীগ্রামে কত গুণ্ডামী করতে পারে মীরজাফররা’, হুঙ্কার মমতার

‘আমিও দেখতে চাই নন্দীগ্রামে কত গুণ্ডামী করতে পারে মীরজাফররা’, হুঙ্কার মমতার

e7681bbe18b8102bd08eaa37321551c6

নারায়ণগড়:  প্রথম দফা ভোটের মাঝেই উত্তাপ বাড়িয়ে আরও একবার অধিকারী পরিবারকে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মেদিনীপুরে নারায়ণগড়ের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারীকে গদ্দারের জ্যাঠামাশাই বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি৷ সব দেওয়ার পরেও বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেত্রী৷  

আরও পড়ুন-  প্রথম দফাতেই বিজেপি’র দফারফা, হাতি, খুন্তি, বটি হাতে ভোট দিতে যান, হুঙ্কার মমতার

প্রসঙ্গত, আজ সকাল থেকেই তপ্ত মহাযুদ্ধের ময়দান৷ ভোট হচ্ছে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও  পুরুলিয়া-এই পাঁচ জেলায়৷ এর মধ্যে রয়েছে অধিকারী গড় বলে পরিচিত কাঁথি৷ এদিন মমতা বলেন, আমাদের দুই গদ্দার বাপ-বেটা এখ বিজেপি’র ওস্তাদ হয়েছে৷ তাঁরা এখন গদ্দারের জ্যাঠামশাই হয়ে উঠেছে৷ এই গদ্দারেরই এক জ্যাঠা, মীরজাফরের ধারক-বাহক গতকাল টাকা বিলি করছিল৷ মেয়েরা আবার হাতেনাতে তাঁদের ধরেছে৷ 

মমতা বলেন, খেজুরি, পটাশপুর এগরা আর কাঁথি দক্ষিণে সকাল থেকে মানুষকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ হাতা, খুন্তি ,বটি নিয়ে ভোট দিতে যান৷ ওঁরা বিহার-উত্তরপ্রদেশ থেকে গুণ্ডা ভাড়া করে নিয়ে আসছে৷ আর  সংবাদমাধ্যমের মালিকদের কিনে নিয়ে ভুল খবর ছড়াচ্ছে৷ বলা হচ্ছে তৃণমূল হারছে, বিজেপি জিতছে৷ সব অশান্তি নাকি তৃণমূল করছে৷  

তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, ২৮ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল আমি নিজে নন্দীগ্রামে থাকব৷ ওই মীরজাফরদের গুণ্ডামী দেখতে চাই৷ দেখব কত গুণ্ডামী করতে পারে৷ তাঁর প্রশ্ন, নন্দীগ্রাম নিয়ে এত মাথা ব্যথা কেন? নন্দীগ্রামে সব কাজ আমি করে দিয়েছি৷ আর নিজের নামে দেওয়া লিখেছে৷ সবই যদি করে থাকে তাহলে কাউকে পূর্ব মেদিনীপুরে ঢুকতে দেয় না কেন৷ 

আরও পড়ুন- ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন মমতা! চাঞ্চল্যকর দাবি নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতার

তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, দীঘা ডেভলপমেন্ট অফরিটি, হলদিয়া ডেভলপমেন্ট অথরিটি নিয়ে যা ইচ্ছা করেছে৷ সারা জেলায় এমনকী শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে যা করেছে জানতে বাকি নেই৷ কাকে কী দিয়ে তোষামোদ করেছে সেটাও জানান৷ যখন কারও লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা হয়ে যায়, তখন সে টাকা রক্ষা করতে চায়৷ ভাবে না, মরে গেলে সেই টাকা কে খাবে৷ ওঁরা ভাবছে কোটি কোটি টাকা রেখে একা খাব৷ এরা টাকা দিয়ে ভয় দেখায়৷ ওঁদের সম্পর্কে যত বলি তত ঘৃণা হয়৷ কারণ আমি নিজেই সবটা বাড়িয়ছি৷ যা চেয়েছে তাই দিয়েছি৷ আর সব দেওয়ার পর আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পালিয়ে গিয়েছে৷ কারণ টাকাটা এখন বিজেপি’র পকেটে রাখতে হবে৷ অমিত শাহকে দিতে হবে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *