কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রশ্ন তুলছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এমনকী ভোটে বাধা ও গ্রামে গ্রামে আধা সেনার অত্যাচারের অভিযোগও তুলেছিলেন তিনি৷ প্রকাশ্য জনসভা থেকে দিয়েছিলেন দাওয়াই৷ বলেছিলেন, সিআরপিএফ ভোট দিতে বাধা দিলে বা নির্দিষ্ট দলের হয়ে ভোট দেওয়ার প্ররোচনা দিলে তাদের ঘেরাও করবেন৷ যা নিয়ে তুমুল বিতর্কের ঝড় ওঠে৷ শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা৷ এমনকী তৃণমূল সুপ্রিমোকে নোটিশ পাঠায় কমিশন৷ শনিবার চতুর্থ দফা ভোট চলার মাঝেই নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন তিনি৷ কমিশনকে নোটিশের জবাব দিলেন মমতা৷
আরও পড়ুন- শুধু চিঠি ফরোয়ার্ড করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না, শীতলকুচি নিয়ে CEO-কে তৃণমূল
প্রসঙ্গত, কোচবিহারের এক জনসভা থেকেই সাধারণ মানুষকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যা নিয়ে তুমুল শোরগোল বাধে৷ তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠায় কমিশন৷ এর জবাবেই মমতা লিখেছেন, ‘‘রাজ্যে তিন দফা ভোটে বিভিন্ন জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষপাতিত্ব অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রায় ১৫০টি অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে কমিশন উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উলটে রাজ্য পুলিশের একের পর এক আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ পাশাপাশি তারকেশ্বরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের হাতে নাবালিকার শ্লীলতাহানির কথাও উল্লেখ করেন তিনি৷ তাঁর দাবি, তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবেই ঘেরাও করতে বলেছেন৷ এর মধ্যে কোনও হিংসা নেই৷ বাংলায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকেই ঘেরাও বলে৷ ভোটারা যাতে সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে পারেন, সেই জন্যই একথা বলেছেন৷