কেন আব্বাস-ওয়াইসির উপর এত রেগে গিয়েছেন মমতা?

কেন আব্বাস-ওয়াইসির উপর এত রেগে গিয়েছেন মমতা?

 

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে ১৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ৩০ শতাংশেরও বেশি সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। বলা হয় প্রায় ৭৪টি বিধানসভা কেন্দ্র সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। এই এলাকাগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে এবার বেগ দিতে আসরে এআইএমআইএম এবং আই এস এফ। বাম-কং জোটের সঙ্গে অন্যতম শরিক আই এস এফ’কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন আব্বাস নাকি ফুরফুরা শরীফের কেউ নয়। যদিও আব্বাসের মত তরুণ মুসলিম নেতার উত্তরোত্তর জনপ্রিয়তা শাসক দলকে ভাবাচ্ছে। কারণ, রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটই তৃণমূলকে অক্সিজেন দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া অন্য কোনও নেতা সেই ভোট টেনে নিক তা চায় না তৃণমূল। তার উপর এআইএমআইএম এর আসাদুদ্দিন ওআইসি মমতার জন্য নতুন চিন্তার কারণ।

আরও পড়ুন- যিনিই হারুন ইন্দ্রপতন, কোন ভবিষ্যতের সূচনা নন্দীগ্রামে?

এই মুসলিম নেতা বিহার নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। পাঁচটি সিট পেয়েছে। তাই আসাদুদ্দিন ওআইসিকে ও আক্রমণ করতে ছাড়েননি মমতা। মমতা বলেছেন, হায়দরাবাদ থেকে উনি বিজেপিকে সাহায্য করতে এসেছেন। আব্বাস এবং ওআইসিকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুশ্চিন্তার কথা স্বাভাবিক। আব্বাস বারবার বলছেন, “পাঁচ টাকার ডিম ভাত খাওয়াচ্ছেন কেন? চাকরি দিন যাতে আমি ১০ টাকার খাবার কিনে খেতে পারি। আমি ডিম ভাত খাবো, নাকি সবজি ভাত খাব, সেটা আমার ব্যাপার।” সংখ্যালঘু সমাজের বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে তৃণমূলকে বিদ্ধ করেছেন আসাদুদ্দিন।

বাংলায় সংখ্যালঘুদের শুধু ভোট ব্যাংক বানিয়ে রেখে রাজনীতি করে চলেছেন মমতা। এতে তৃণমূলের লাভ হচ্ছে, কিন্তু সংখ্যালঘুদের আক্ষরিক অর্থে কিছু উন্নতি হচ্ছে না – এই বক্তব্য অনেক আগে থেকেই বলে এসেছে বিজেপি। বাম দলগুলোও প্রায় একই মতামত দিয়েছে। আব্বাস এবং ওআইসি এখন তা জোর গলায় বলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাগের কারণ হয়ে উঠেছেন তারা।

আরও পড়ুন- শাসক দলের মুখে বুথ দখলের অভিযোগ! ফিরছে শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্মৃতি?

বাংলার মুসলমান সমাজের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুধ্যে ক্ষোভ নেই এমন নয়। বাংলার মুসলমানদের তেমন উন্নতি হয়নি বলে মনে করেন অনেকেই। অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন, সাচার কমিটির সুপারিশ কার্যকর হয়নি। সেক্ষেত্রে, মুসলিমদের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে উপস্থিত হয়েছেন আসাদুদ্দিন এবং আব্বাস সিদ্দিকী। কাজের তিনি তৃণমূলের কাছে চক্ষুশুল হয়ে থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *