কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখে বুথ দখল এবং বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগ শুনে অনেকেই বিস্মিত। তৃণমূলের শাসন কালে ২০১১ থেকে বিভিন্ন নিবার্চনে বিরোধীরা বুথ দখল এবং সন্ত্রাসের রাজনীতির অভিযোগ করেছে। বহিরাগত ঢুকিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ বারবার উঠেছে। এবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ঝাড়খণ্ড – বিহারের বহিরাগতের কথা শুনে অনেকেই অবাক।
বিধাননগর পুরসভার নির্বাচনে কলকাতার বিধায়ক পরেশ পাল, ভাটপাড়ার তৎকালীন বিধায়ক অর্জুন সিংহ (তখন তৃণমূলে ছিলেন) কে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। পরেশ পাল বলেছিলেন , ভোট দেখতে এসেছি। বিধাননগরের সাধারণ জনতার অনেকেই ভোট দিতে পারেননি। সাংবাদিকরা অনেকেই বেধড়ক মারও খান তৃণমূলের গুন্ডার হাত থেকে। অভিযোগ ওঠে ‘রেপ করে দেব’ – তৃণমূলের গুন্ডার মহিলা সাংবাদিকদের নাকি হুমকিও দেন। শহুরে সুশীল সমাজ প্রতিবাদ করেছিযেন। কিন্তু পরিমিত। আজ সেই তৃণমূল কংগ্রেস বুথ দখল এবং বহিরাগত নিয়ে যখন অভিযোগ করছে, সেই সময় অনেকে আবার এও দাবি করেছেন যে, তৃণমূল নাকি অনেক বুথে নির্বাচনী এজেন্ট দিতেই পারেনি। নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন ৭০টি বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি। আশ্চর্য ব্যাপার, গত ১০ বছরে এমন কবে হয়েছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না।
তৃণমূল অবশ্য বুথ দখলের অভিযোগ কমিশন নিয়ে শুধু নির্বাচন কমিশনের দোরগোড়াতেই আবদ্ধ রাখতে রাজি নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুযায়ী, তৃণমূল আদালতে যেতে চায়। মমতা বলছেন তিনি নিজের জয়ের ব্যাপারে চিন্তিত নন। তবে, তিনি চিন্তিত যে গণতন্ত্র কীভাবে রক্ষা হবে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তিনি কী এই কথা ভেবেছিলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এখন যতটা তার প্রশ্নের মুখে, তখন কী তার কাছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এতটাই খারাপ ছিল?