কোচবিহার: গত ১০ এপ্রিল মাথাভাঙায় প্রথমবার ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল আনন্দ বর্মন নামে এক যুবকের৷ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় আরও চার জনের৷ এর পরেই কমিশনের বেঁধে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই শীতলকুচি পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আনন্দ বর্মন ও বাকি চার নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন- শীতলকুচির ঘটনায় নয়া মোড়, এবার পৃথক তদন্তে নামছেন CISF -এর কর্তারা
চতুর্থ দফা ভোটে ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল হামিদুল হক, দিলদার আহমেদ, মনিরুল হক এবং নুর আলমকে৷ এই চারজনের পরিবারের সঙ্গে আজ দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মাথাভাঙা মাঠের পাশে তৈরি করা হয় শহিদ মঞ্চ৷ আজ সকাল থেকেই এই মঞ্চের সামনে উপস্থিত হন নিহতদের আত্মীয় স্বজন৷ প্রথমে আনন্দ বর্মনের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান না৷ কিন্তু পরে তাঁর দাদু ও মামা শহিদ মঞ্চে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন পাঁচ নিহত পরিবারের সদস্যরাই৷
প্রসঙ্গত, ঘটনার পরের দিনই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু কমিশনের জারি করা নির্বাচনী বিধিনিষেধের জেরে শীতলকুচি যেতে পারেননি তিনি৷ পরে তাঁর প্রচারেও ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ তবে ফোনে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- মতুয়াদের জন্য কিছু না করে থাকলে রাজনীতি ছেড়ে দেব! চ্যালেঞ্জ মমতার
চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির ঘটনা গোটা দেশকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল৷ অকালে চলে যায় পাঁচটি তাজা প্রাণ৷ এদিন সকালে আনন্দবর্মনের পরিবারের তরফে বলা হয়েছিল, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান না৷ কারণ সে সরকার তাঁদের ছেলেকে মেরেছে, সেই সরকারের টাকার প্রয়োজন নেই৷ বরং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হোক৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর দাদু ও মামা৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, হামিদুল হক, দিলদার আহমেদ, মনিরুল হক এবং নুর আলমের পরিবারের সদস্যরাও৷ প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেন মমতা৷ সকলের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি৷