কলকাতা: চতুর্থ দফা ভোটে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল শীতলকুচি৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল চারজনের৷ অপর একটি ঘটনা মিলিয়ে মোট মৃত পাঁচ৷ শীতলকুচি কাণ্ডের জেরে এবার সাসপেন্ড কোচবিহারের অপসারিত এসপি দেবাশীষ ধর৷ বুধবার সন্ধেয় প্রথমে অপসারণ করা হয় তাঁকে৷ রাতে সাসপেন্ড হন তিনি৷ ভোটপর্বে কোচবিহারের এসপি ছিলেন দেবাশীষ ধর৷
আরও পড়ুন- গণনায় কারচুপি! ‘ব্যর্থ’ কমিশনকে ‘দুষে’ আদালতে যাওয়ার হুমকি শুভেন্দুর
বুধবার কোচবিহারে পুলিশ সুপার বদলের পরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে৷ চতুর্থ দফার ভোটে তিনিই ছিলেন দায়িত্বে৷ পাশাপাশি ক্ষমতায় এসেই রাজ্য পুলিশে বড়সড় রদবদল ঘাটানো হল৷ একাধিক আইপিএসকে পাঠানো হল কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে৷ কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হল পূর্ব মেদিনীপুরের এসপির সুনীল কুমার যাদব, আসানসোল দুর্গাপুরের সিপি মিতেশ জৈন এবং বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি মুকেশকে৷ পাশাপাশি বদল করা হল বাঁকুড়া, সুন্দরবন, চন্দননগরের পুলিশ সুপারদের৷
আরও পড়ুন- মমতার শপথেও বাড়তি নজর অভিষেকে! সাফল্যের কৃতিত্ব তাঁরও
অন্যদিকে, নবান্নে পা রেখেই নিরাপত্তা অধিকর্তা পদে ফিরিয়ে আনা হল বিবেক সহায়কে৷ নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার পরেই অপসারণ করা হয়েছিল তাঁকে৷ এই ঘটমার পরেই মুখ্য সচিব ও সিইওর কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কমিশন। রিপোর্ট তলব করা হয় রাজ্যের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের কাছ থেকেও৷ এর পরেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে জারি সাসপেনশন তুলে নিল রাজ্য৷ ফেরানো হল হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার তথা তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামী সৌম্য রায়কেও। ব্যারাকপুরে পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে ফিরলেন মনোজ বর্মা৷ চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে অর্ণব ঘোষ৷