দাসপুর: সম্প্রতি প্রচারে বেরিয়ে জনতার ‘আবদারে’ মেজাজ হারিয়ে শাড়ি ধরে ছুট লাগিয়েছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ৷ তিনি না হয়, রাজনীতির আঙিনায় নেহাতই নাবালিকা৷ কিন্তু প্রচারে নেমে কী ভাবে আমআদমির প্রশ্নে মেজাজ হারালেন দুদে রাজনীতিবিদ মানস ভুঁইয়া? শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যে সপাটে চড় কষালেন দলীয় কর্মীর গালে৷ বেলাগাম ভাষায় করলেন গালিগালিজ৷ ভোটের মুখে তাঁর এই কাণ্ডে মুখ পুড়ল তৃণমূলের৷ আর তৃণমূল প্রার্থীর এই কীর্তি সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হতেই উঠল সমালোচনার ঝড়৷
আরও পড়ুন- বিতর্কিত মন্তব্য, জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে শো-কজ করল কমিশন
এদিন মেদিনীপুরের দাসপুরে গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন সবং-এর তৃণমূল প্রার্থী৷ কিন্তু তাঁকে দেখেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা৷ তাঁদের অভিযোগ, এখানকার মানুষ বাংলা আবাস যোজনায় কোনও সুবিধা পায়নি৷ এই দাবিতে সোচ্চার হয়ে তাঁকে ঘিরে ধরে শুরু হয় স্থানীয়দের বিক্ষোভ৷ বিক্ষোভের মুখে দলীয় কর্মীদের কাছে তিনি জানতে চান, কেন এখানকার মানুষ বাংলা আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে? জবাবে দলীয় কর্মীরা জানান, সরকারি ভাবে তালিকা না পাওয়ায় এখানে ২৫০ জনকে এই সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ এই কথা শুনেই মেজাজ হারান মানস ভুঁইয়া৷ রেগে গিয়ে সবার সামনেই নির্মলেন্দু ঘড়ুই নামে এক কর্মীর গালে চড় কষান৷ এই কথা কেন তাঁকে জানানো হল না? সেই প্রশ্ন তুলে কুরুচিকর ভাষায় গালিগালাজও করতে থাকেন মানসবাবু৷
আরও পড়ুন- ‘নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না, বাংলাকে কীভাবে দাঁড় করাবে?’, বেলাগাম দিলীপ!
তাঁর এই কাণ্ড যাথারীতি মোবাইলে রেকর্ড হয়ে যায়৷ আর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই তা ভাইরাল৷ তাঁর এই কর্মকাণ্ড দেখে ছি ছি রব উঠেছে৷ কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরাও৷ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেও আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির৷ পরে অবশ্য নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি৷ স্থানীয় মানুষকে বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন৷