পাণ্ডবেশ্বর: বিজেপিতে নাম লিখানোর পরেই নিজের পুরনো জায়গা থেকে প্রার্থী হয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে প্রচার চলাকালীন এমন বিতর্কিত মন্তব্য করলেন যার জন্য নির্বাচন কমিশন তাকে শোকজ করেছে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি জিতেন্দ্র মন্তব্য করেছিলেন যে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জিতলে তিনি পাণ্ডবেশ্বরের প্রবীণ নাগরিকদের বিনা খরচে অযোধ্যায় নিয়ে যাবেন রাম মন্দির দর্শনের জন্য। এই মন্তব্য করেই বিপাকে তিনি।
আর হাতে গোনা কয়েক দিন পরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন শুরু। আর এখন নির্বাচনী আচরণ বিধি মানা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেই আচরণবিধি অনুযায়ী ভোট দাতাদের ধর্ম নিয়ে কিছু বলা যায় না। আর ঠিক এই জায়গাতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি সেখানকার বয়স্কদের বিনা খরচে রাম মন্দির দর্শন করাবেন বলেছিলেন ভোটে জেতার পর, তাই নিয়ম অনুযায়ী তিনি আদর্শ আচরণবিধি লংঘন করেছেন। সেই কারণেই তাঁকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রচারে বেরিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, বিগত পাঁচ বছর ধরে তিনি পাণ্ডবেশ্বরের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এখানে একজন দিদির সৈনিক রয়েছে যে সবার ঠ্যাং ভেঙে দেবে বলেছিল। যারা রাম নাম করছে তাদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আর সেসব বরদাশ্ত করা হবে না। জিতেন্দ্র জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে জেতার পর তিনি এখানকার সকল বয়স্ক মানুষদের বিনা খরচে রাম মন্দির দর্শন করাবেন, অযোধ্যায় নিয়ে যাবেন। একই সঙ্গে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এখানকার অলিগলি থেকে জয় শ্রীরাম স্লোগান শোনা যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- দিদিকে বহিরাগত খোঁচা মোদীর, বহিরাগত কে? জবাব মমতার!
দীর্ঘ টানাপোড়েন এবং বিতর্কের পর অবশেষে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করার পর তিনি আবারও পুরনো দলে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলেন এবং শেষদিকে সফল হয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে জাতীয় মুখপাত্র করেছিল দলের। কিন্তু অবশেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে বিজেপিতে চলে যান তিনি। তখন জানিয়েছিলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে আসছেন কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের থাকার জন্য প্রকাশ্য জনসভায় বলার সাহস এবং সুযোগ কোনোটাই পাননি।