নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েই পায়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার ঠিক তিন সপ্তাহের মাথায় সেই নন্দীগ্রামের মাটিতেই হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সভা মঞ্চ থেকে এক পায়ে দাঁড়িয়েই গেয়েছেন গানও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাঙা পায়ে এহেন ভেলকি কিন্তু রাজনৈতিক মহলে তীব্র কটাক্ষের মুখোমুখি হয়েছে। প্রথম থেকেই ভোটের মুখে পায়ে চোট এবং হুইলচেয়ার অভিযান ভালো চোখে দেখছিলেন না বিরোধীরা। জনগণের সহানুভূতি আদায় করার জন্য এই ‘নাটক’ করছেন বলেও মত প্রকাশ করেছিলেন কেউ কেউ। আর এদিন যখন তিনি হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন, তখন তাকেও তীব্র কটাক্ষে বিদ্ধ করল বামেরা।
আরও পড়ুন- আক্রান্ত অশোক দিন্দা! বিজেপি প্রার্থীর হামলার ঘটনায় রিপোর্ট তলব
“শ্যুটিং শেষ.. প্যাক আপ”, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ানোকে এদিন ঠিক এই ভাষাতেই ব্যঙ্গ করা হয়েছে বায় শিবিরের তরফ থেকে। এই কাজের জন্য তাঁরা বেছে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াকেই। এদিন বামফ্রন্টের একটি ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা হয়েছে একটি ব্যঙ্গচিত্র বা মিম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ানোর মুহূর্তের ছবি দিয়ে সেখানে লেখা আছে ওই চারটি শব্দ, “শ্যুটিং শেষ.. প্যাক আপ”। বস্তুত প্রথম থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমোর পায়ে আঘাত লাগার ঘটনাকে সাজানো বলে উল্লেখ করে আসছিলেন বাম নেতারা। এমনকি এবারের ভোটে তাঁদের জোট শরিকরাও একই সুরে কথা বলছিলেন। আর নন্দীগ্রাম ভোটের ঠিক দুদিন আগে, প্রচার যখন শেষ লগ্নে তখনই হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ানোয় বামেদের তরফে এই ‘নাটক’ তত্ত্ব আরো জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে বাঁ পায়ে চোট লাগার পর এই ঘটনাকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে অভিহিত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথা অনুযায়ী তাঁর উপর হামলা করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবেই। এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতেও হয় বিস্তর জলঘোলা। এরপর পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে হুইলচেয়ারে চেপেই জেলা সফর শুরু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।