করোনাকালে দিল্লিকে পিছনে ফেলে বায়ুদূষণে এগিয়ে গেল কলকাতা, AQI-এ বাড়ছে উদ্বেগ

করোনাকালে দিল্লিকে পিছনে ফেলে বায়ুদূষণে এগিয়ে গেল কলকাতা, AQI-এ বাড়ছে উদ্বেগ

কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে দিল্লির দূষণ৷ কিন্তু এবার বায়ু দূষণের নিরিখে দিল্লিকেও ছাপিয়ে গেল কলকাতা৷ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে দূষণের পরিমাণ ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ গোটা বিষয়টি উদ্বেগজনক বল উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা৷ দূষণ কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ৷ 

আরও পড়ুন- শালিকার নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে শ্রীঘরে মেসো

করোনাকালে কলকাতায় বায়ুদূষণ নিয়ে বাড়ল উদ্বেগ৷ এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিন ভয়ঙ্কর বিপদ আসতে চলেছে বলে সতর্ক করলেন পরিবেশবিদরা৷ গত কয়েকদিন ধরেই শহরে চিত্রটা কিছুট ঝাপসা৷ অনেকেই মনে করছিলেন হয়তো শহরকে ঢেকে রেখেছে কুয়াশা৷ কিন্তু সত্যিটা তা নয়৷ এর নেপথ্যে রয়েছে ধোঁয়াশা৷ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে দূষণের মাত্রা দেখে বাড়ছে উদ্বেগ৷ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই-এ বাতাসের মান ০-৫০ হলে খুব ভাল৷ ৫১ থেকে ১০০ হলে সন্তোষজনক৷ ১০১ থেকে ২০০ হলে মডারেট বা মোটামুটি৷ ২০০ থেকে ৩০০ হলে উদ্বেগজনক (এই বাতাসে বেশিক্ষণ থাকলে ফিসফুসের সমস্যা বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে)৷ ৩০১ থেকে ৪০০ হলে তা মারাত্মক (এই ধরনের জায়গায় বেশিক্ষণ থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে)৷

সাধারণ দিল্লিতে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৩০০-র উপরে থাকে৷ উল্লেখজনক ভাবে গত দুই দিনে সেই মাত্রা ২০০-র নীচে নেমে এসেছে৷ অন্যদিকে, কলকাতায় এআইকিউ বেড়ে গিয়েছে হু হু করে৷ কলকাতা ও শহরতলীর মোট সাতটি জায়গায় একিউআই দেখার পরিকাঠামো রয়েছে৷ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এআইকিউ দেখে উদ্বেগ বাড়ছে৷ বালিগঞ্জে একিউআই ইনডেক্স ৩২৮, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ৩৫৪, যাদবপুরে ৩০৫, ফোর্টউলিয়ামে একিউআই ২৯৪৷ অন্যদিকে, কলকাতার ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবরে একিউআই কিছুটা কম ২৪২, ভিক্টোরিয়ায় ২৬৬ এবং বিধাননগরে ২৫৮৷ দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা যখন কমছে, তখন  কলকাতায় একিউআই উদ্বেগের পর্যায়ে চলে গিয়েছে৷ 

পরিবেশবিদ সৌমেন্দ্র মোহন ঘোষের কথায়, শহরে বাতাসের মান দিল্লির চেয়েও খারাপ৷ দিল্লির চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি৷ এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরাও৷ তাঁরা বলছেন, বিষয়টি ভয়ঙ্কর৷ যে কোনও সময় এটা বিপজ্জনক আবার নেবে৷ এই নিয়ে এখন থেকে চিন্তাভাবনা করতে হবে৷ অন্যান্য রাজ্য বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করতে পারলে বাংলা পারবে না কেন? প্রশ্ন পরিবেশকর্মীদের৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *