হেঁড়িয়া: চরম লালসার শিকার দশম শ্রেণির ছাত্রী। নিজের মেসোমশাইয়ের হাতে ধর্ষিতা হল সে৷ ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য৷ ধর্ষিতা নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত মেসোমশাইকে গ্রেফতার করেছে৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি থানার কৃষ্ণনগর এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত মেসোমশাইয়ের নাম নিতাই মণ্ডল। তার বাড়ি খেজুরি থানার কৃষ্ণনগর এলাকায়। শনিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ ১৪ দিনের জেল হেফাজতের থাকার নির্দেশ দেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খেজুরি থানার পুলিশ। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন দুটি গ্রামের বাসিন্দারা।
সূত্রের খবর, খেজুরি থানার হলুদবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকার মা-বাবা কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে কেরলে থাকত। পড়াশোনার জন্য ওই মেয়ে খেজুরি কৃষ্ণনগর একটি হোস্টেলে থাকত। পাশেই মেসোমশাই বাড়ি রয়েছে। প্রায়ই ওই নাবালিকা মেসোমশাইয়ের বাড়িতে যাতায়াত করত। লকডাউনে কারণে মা বাবা না থাকায় মেসোমশাইয়ের বাড়ি ও মামার বাড়িতে থাকতো ওই নাবালিকা।
অভিযোগ, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মেসোমশাই ওই নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে৷ এই কথা কাউকে জানালে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় অভিযুক্ত মেসোমশাই৷ সেই ভয়ে মুখ বুজে দীর্ঘদিন মেসোমশাইয়ের এই নারকীয় অত্যাচার সহ্য করে থাকে। আর সেই সুযোগে মেসোমশাই ওই নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক দিনের পর দিন গড়ে তোলে। এরপর নাবালিকার বাবা-মা কেরল থেকে বাড়ি ফিরলে সব কথা জানায়। এরপর নাবালিকার মা খেজুরি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। হেঁড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সৌম্য পাল বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ নাবালিকার মায়ের দাবি, “অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তি চাই৷” অভিযুক্ত নিতাই মণ্ডলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৬(২) পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।