নয়াদিল্লি: বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যে এখন ভোটের আবহ৷ বাকি চার রাজ্যে ভোট হয়ে গেলেও এখনও চার দফা ভোট বাকি বঙ্গে৷ এরই মাঝে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে দায়িত্ব নিলেন সুশীল চন্দ্র৷ প্রসঙ্গত, সোমবার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয় সুনীল আরোরার৷ তাঁর বদলেই দায়িত্ব নেন সুশীল৷ তিনি হলেন দেশের ২৪ তম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার৷
আরও পড়ুন- করোনার ভয়ঙ্কর ছবি! হাসপাতালের মেঝেতে-খোলা আকাশের নীচে পড়ে রয়েছে মৃতের স্তূপ
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন চন্দ্র৷ এবার তাঁকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ৷ ২০২২ সালের ১৪ মে পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে থাকবেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, সুশীল চন্দ্র ১৯৮০-র ব্যাচের ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিস(আইআরএস)অফিসার। এর আগে তিনি ছিলেন সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)-এর চেয়ারম্যান৷
সুশীল চন্দ্রের মেয়াদের মধ্যে ভোট হবে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরের বিধানসভায়৷ তিনি আরোরার নেতৃত্বাধীন প্যানেলের সদস্য হিসাবেও অসম, কেরল, পুদুচেরী এবং তামিলনাড়ুতে ভোট করেছেন৷ এর আগে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে তিনি মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি এবং বিহারে ভোট করেছেন৷ সোমবার তাঁর নির্দেশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ অভিযোগ, তিনি প্ররোচনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের বাকি চার দফা ভোট সামলাবেন তিনিই৷ বাংলায় শেষ দফা ভোট ২৯ এপ্রিল৷ ২ মে পাঁচ রাজ্যেই ভোট গণনা৷
আরও পড়ুন- করোনা ইস্যুতে মোদিকে ‘আম’ কটাক্ষ রাহুলের!
এদিকে সুশীল চন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে তৃণমূল৷ তাঁদের বক্তব্য, মুখ্য নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক৷ ডেকের ও’ব্রায়েন টুইট করে বলেন, ‘‘আজ গণতন্ত্রের কালো দিন।’ মুখ্যনির্বাচন কমিশনারের এই সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্র বিরোধী ও অসাংবিধানিক’ বলেই দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।