চিন্তা বাড়াচ্ছে কিমের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’! কী আছে উত্তর কোরিয়ার এই পারমাণবিক ডুবোজাহাজে?

চিন্তা বাড়াচ্ছে কিমের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’! কী আছে উত্তর কোরিয়ার এই পারমাণবিক ডুবোজাহাজে?

9dc2d94040caf3ea26f7530248196293

 কলকাতা: কোরিয়ার আকাশে বারুদের গন্ধ৷ অস্ত্র ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে এবার পারমাণবিক ডুবোজাহাজ বানালো পিয়ংইয়ং। এমনটাই ঘোষণা করলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং-উন। ২০১৯ সালেই কিম ঘোষণা করেছিলেন, উত্তর কোরিয়া এমন এক ডুবোজাহাজ বানাতে চলেছে, যা পারমাণবিক শক্তিচালিত। এমনকি এই ডুবোজাহাজ নিজেও পরমাণু অস্ত্র হিসাবে কাজ করবে।

আরও পড়ুন- এখনও নিখোঁজ প্রায় ১৫০ জন, ইন্দোনেশিয়ায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

    
কিমের এই পারমাণবিক ডুবোজাহাজ থাকবে বৈদ্যুতিক যুদ্ধসরঞ্জাম এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামে ঠাসা। উপগ্রহের উপর নজরদারিও চালানো যাবে এই ডুবোজাহাজ থেকে। কিমের দেশে তৈরি এই ডুবোজাহাজের অন্দরে কী রয়েছে,  তা জানতে স্বাভাবতই কৌতূহলী বহু দেশ।

বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তিধর দেশ আমেরিকার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক যে মধুর নয়, সে সম্পর্কে খুব ভালো ভাবেই জ্ঞাত আন্তর্জাতিক মহল৷ একাধিক ইস্যুতে আমেরিকা এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে৷ এখন প্রশ্ন হল কিমের এই ডুবোজাহাজকে টক্কর দেওয়ার মতো অস্ত্র কি মার্কিন অস্ত্রাগারে রয়েছে? জানতেও কৌতূহলী আমেরিকা-সহ সবকটি শক্তিধর দেশ। 

আন্তর্জাতিক মহলের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এর আগেও বহু পরমাণু অস্ত্র বানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু, সেই সব পরমাণু বোমার ব্যাপ্তি ছিল সীমাবদ্ধ৷ কিমের অঙ্গুলিহেলনে তৈরি এই ডুবোজাহাজ ব্যালেস্টিক মিসাইল  ছুড়তে সক্ষম। এই ডুবোজাহাজের ওজনও বিশাল৷ প্রায় দু’হাজার টন বা প্রায় ২০ লক্ষ কিলোগ্রাম।

অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের হাতে ‘রোমিও ক্লাস’ নামে একটি ডুবোজাহাজ ছিল। শত্রুপক্ষের ঘাম ঝরাতে সিদ্ধহস্ত সেই ডুবোজাহাজের খ্যাতি ছিল জগৎজোড়া। অনেক দূরে থাকা শত্রু জাহাজকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারদর্শী ছিল এই শক্তিশালী ডুবোজাহাজ। সূত্রের খবর,  সোভিয়েত ইউনিয়নের সেই ভয় ধরানো ডুবোজাহাজেরই আধুনিক রূপ কিমের এই নয়া ডুবোজাহাজ।

উত্তর কোরিয়ার দাবি, তাদের হাতে মোট ৭১টি ডুবোজাহাজ রয়েছে। তবে এই ধারে ভারে সেগুলি নতুন পরমাণু ডুবোজাহাজের কাছে নয়৷ বাকি  ডুবোজাহাজকে সহজেই কুপোকাত করে দেবে এটি৷ চলতি বছরের গোড়ায় ধারাবাহিক ভাবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করে উত্তর কোরিয়া৷ এর পরই কিম জং উনের ‘পরমাণু পরীক্ষার পরিকল্পনা’ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ওয়াশিংটন।

এর পরেই কিমের দেশের সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, আমেরিকা এবং তাদের বন্ধু দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় জবাবি হামলা চালানোর উদ্দেশ্যেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ১৮ নভেম্বর শুক্রবার, জল্পনা উস্কে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াশুকাজু হামাদা বলেন, আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর মতো প্রযুক্তি হাতের মুঠোয় বন্দি করেছে উত্তর কোরিয়া। সেই প্রযুক্তি এই পারমাণবিক ডুবোজাহাজের সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা, তা ভাবাচ্ছে তাবড় তাবড় দেশকে।