RG Kar: অনশনে অনড় পড়ুয়ারা, কেন আন্দোলন? জানতে চাইল আদালত

RG Kar: অনশনে অনড় পড়ুয়ারা, কেন আন্দোলন? জানতে চাইল আদালত

কলকাতা:  এদিন সকালেই বিচারপতি বলেছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে৷ তাঁদের অভাব অভিযোগগুলিও জানা দরকার৷ সেই মতই সোমবার দুপুরে ভরা এজলাসে আরজি করের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক৷ কেন তাঁরা আন্দোলনের পথে এলেন, তার কারণ জানতে চাইল আদালত৷ 

আরও পড়ুন- বাজি পোড়ানোর উপর জারি থাকুক নিষেধাজ্ঞা, আর্জি জানিয়ে মামলা হাইকোর্টে

পড়ুয়ারা জানানা, দীর্ঘ তিনমাস ধরে তাঁরা তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কথা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এবং শিক্ষকদের কাছে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও রকম সমস্যার সমাধান করা হয়নি। বরং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ এর পরেই বিচারপতি তাঁদের কাছে জানতে চান কী ধরণের আন্দোলন তারা করছেন? মাইকিং- মিছিল করছেন কি? জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, সব রকম ভাবেই আন্দোলন হচ্ছে। যদিও তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে আরজি করের পড়ুয়ারা জানান, তাঁরা কোনও রকম মাইকিং করছেন না৷ 

আগামী বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম৷ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা হবে৷ চিকিৎসক ছাত্রছাত্রীদের অভাব অভিযোগগুলি দায়িত্ব সহকারে বিবেচনা করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে৷ কারণ তাঁরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তাঁদের দাবি থাকবে। আর সেই দাবি দাওয়ার উপরে বিশেষ নজর দিতে হবে।

কতদিন ধরে আন্দোলন চলছে এদিন তাও জানতে চান বিচারপতি৷ পড়ুয়ারা জানান ২০ দিন ধরে এই আন্দোলন চলছে৷ এর পরেই বিচারপতি বলেন, আমরা আন্দোলনের বিরুদ্ধে নয়। কিন্ত আপনারা একজন চিকিৎসক সেটা ভুলে গেলে চলবে না। আপনারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছেন৷ তবে আমরা চাই আপনারা আন্দোলন তুলে নিন৷ 

আন্দোলকারীরা সাফ জানিয়ে দেন, আগামী ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁদের অনশন চলবে। বর্তমানে তিনজন অনশনে রয়েছেন। আরজি করে যে সকল পড়ুয়া অনশনে রয়েছেন তাঁদের আদালতের কক্ষ থেকে ফোন করা হয়৷ দুই বিচারপতি বলেন, আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে৷ আপনারা শুধু অনশন তুলে নিন৷ তবে আরজি করে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা জানান তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড়৷ ২৯ অক্টোবরের আগে তারা কোনও ভাবেই অনশন আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসবেন না। এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক তাঁদের পিতৃস্নেহেই বোঝানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু বহু অনুরোধের পরেও আন্দোলনরত পড়ুয়ারা নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =