ছত্রিশগড়: পাঁচ রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। তার মধ্যেই বড়োসড়ো মাওবাদী হামলায় শিহরিত হয়েছে দেশ। ২২ জন জওয়ান শহীদ এবং ৩০ জন কমপক্ষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, এদিকে সূত্রের খবর মাওবাদী নিকেশ হয়েছে মাত্র ১০ জন। নিরাপত্তা বাহিনী কিভাবে এই হামলার ফাঁদে পড়ল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে সর্বত্র। তবে সিআরপিএফ জানাচ্ছে, মাওবাদীদের ‘ইউ আকৃতির’ ফাঁদে পড়ে গিয়েছিল জওয়ানরা। যার ফলে এই পরিণতি।
জানা গিয়েছে, এমনভাবে নিরাপত্তাবাহিনীকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল যে একসঙ্গে গুলি, বোমা এবং রকেট নিক্ষেপ করা হয় তাদের উদ্দেশ্যে! গাছপালা হীন খোলা জায়গায় তাদের ঘিরে ধরেছিল কমপক্ষে ৪০০ মাওবাদী জঙ্গি। ঘটনাস্থলে কার্যত কিছু করার ছিল না নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের। একের পর এক হামলায় শহীদ হন তারা। যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সিআরপিএফ কর্তা কুলদীপ সিং দাবি করছেন, এই আধা সেনা অভিযানে কৌশলগত ত্রুটি ছিল না এবং গোয়েন্দা তথ্যেও কোনো রকম ভুল ছিল না। শুধুমাত্র মাওবাদীদের ফাঁদে পড়ে গিয়েছিল তারা। আর যে জায়গায় এই হামলার ঘটনা ঘটে সেখানে গাছপালা না থাকায় লুকিয়ে পড়ার জায়গা পাননি কেউ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে বৈঠক করে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরবর্তী ক্ষেত্রে ছত্রিশগড় পৌঁছেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- বাংলায় করোনা পরিস্থিতি কেমন? ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমিশনকে এতহাত মমতার
তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে রবিবার ছত্রিশগড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে সিআরপিএফের তরফে। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই ঘটনার ব্যাপারে একটি রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছে ছত্রিশগড় পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, গতকালও সুকমায় কত জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে৷ অথচ অমিত শাহ তা দেখছেন না৷ দাঙ্গা ছাড়া উনি কিছু করতে পারেন না৷ উনি দিল্লিতে দাঙ্গা করেন, সুকমায়, পুলওয়ামায় লোক মারেন৷ আর ভোট করবে বলে, বাংলা দখল করবে বলে দিল্লি থেকে সব নেতা এসে এখানে বসে আছে টাকার ভণ্ডার নিয়ে৷ তাই এদের পরাস্ত করতেই হবে৷