বিশ্বের ৪৪টি দেশে চোখ রাঙাচ্ছে ভারতীয় স্ট্রেন, বলছে WHO

বিশ্বের ৪৪টি দেশে চোখ রাঙাচ্ছে ভারতীয় স্ট্রেন, বলছে WHO

নয়াদিল্লি:  উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের করোনা পরিস্থিতি৷ ভারতের B.1.617  স্ট্রেনের খোঁজ মিলিছে বিশ্বের আরও ৪৪টি দেশে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) গত ১১ মে তাদের সাপ্তাহিক মহামারী সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ সেখানে কোনও দৃঢ় প্রমাণ তুলে ধরা মা হলেও ‘ডবল মিউট্যান্ট’ স্ট্রেন ভারতের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এটা আন্তর্জাতিক স্তরে ‘ভ্যারিসেন্ট অফ কনসার্ন’ (ভিওসি) হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে৷ 

আরও পড়ুন- করোনার থাবা এবার গ্রামাঞ্চলেও, দেখা দিতে পারে খাদ্য সঙ্কট, আশঙ্কা

B.1.617 ভ্যারিয়েন্টের তিনটি স্পাইক প্রোটিন মিউটেশন রয়েছে৷ E484Q এবং L452R প্যাথজেনের গুরুত্বপূর্ণ স্পাইক প্রোটিন অংশে এর সংক্রমণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে৷ তৃতীয় মিউটেশন P681R আরও বেশিভাবে ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে৷ E.484K মিউটেশনটি দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট৷ B.1.617 প্রথম অক্টোবর মাসে চিহ্নিত হয়৷ ব্রিটেনের পাবলিক হেলথ ইংলন্ড B.1.617.2 এবং B.1.617.3 আরও দুটি সাবটাইপ চিহ্নিত করেছে৷ ভারতীয় স্ট্রেন B.1.617 অত্যন্ত চিন্তার বিষয়৷ 

হু’র মহামারী সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা এই ভ্যারিয়েন্টের অতি সংক্রামক চরিত্র এবং গঠন নিয়ে পর্যালোচনা করছেন। ভারত-সহ অন্যান্য দেশে এই সংক্রান্ত গবেষণা চলছে। যেখানে যেখানে এই ভ্যারিয়েন্ট হানা দিয়েছে সেখান থেকেই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। 

হু’র টেকনিক্যাল লিডার ডা. মারিয়ার কথায়, ‘‘জীবাণু প্রতিনিয়ত চরিত্র বদল করে। আগামী দিনে আরও অনেক ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব হবে। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের একাধিক ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গবেষণা চলছে। তবে আমাদের ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবরকম চেষ্টা করতে হবে৷ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকিয়ে মৃত্যুকে আটকাতে হবে। সমস্ত সমর্থ দিয়েই এটা করতে হবে।” 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *