কলকাতা: বেআইনি কয়লা খাদান মামলায় এ বার আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ১১ নভেম্বর তাঁকে তলব করেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই দিনই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷ এই মামলায় ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে মুখ বন্ধ খামে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রিপোর্ট জমা পড়েছে রাজ্যের তরফেও।
আরও পড়ুন- মানুষের টাকা নিয়ে চুপচাপ বসে থাকব না! স্পষ্টবক্তা বাবুল
প্রসঙ্গত, এর আগে কয়লা খাদান মামলায় রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের আইজি-কে তলব করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার ভার্চুয়াল শুনানি প্রক্রিয়ায় উপস্থিত হন তিনি৷ আইডি আদালতকে জানান, সংশ্লিষ্ট কয়লা খাদান তাঁর এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে পড়ে না।
২০১৩ সালে কয়লা খাদান নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়৷ এর পরেই আদালত খাদান বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদালতের সেই নির্দশ উপেক্ষা করেই চলছিল কারবার৷ যার জেরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি৷ তিনি বলেন, ‘‘এতদিন ধরে কি আপনারা ঘুমাচ্ছিলে? কেন কোনও পদক্ষেপ করা হল না? কেন এই বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়নি?’’ এর পরেই তলব করা হয় আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারকে৷
আরও পড়ুন- ‘বাবুল একা নয়, এখনও কিছু বিশ্বাসঘাতক পড়ে রয়েছে,’ বিস্ফোরক তথাগত রায়
পশ্চিম বর্ধমানের রানীগঞ্জ-আসানসোল ছাড়াও বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূমের বেশ কিছু জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে কয়লা, বালি ও পাথরের বেআইনি খাদানের রমরমা কারবার চলছে। এই বিষয়ে আদালতেক দৃষ্টি আকর্ষণ করে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী পার্থ ঘোষ৷ সেই মামলার প্রেক্ষিতেই আদালত বেআইনি খাদানের কারবার বন্ধ করার নির্দেশ দেয়৷