নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে আমদাবাদ হাইস্কুলের মাঠে ছিল আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ সভা৷ দলীয় কর্মীদের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি একহাত নিলেন বিজেপিকে৷ তুলোধোনা করলেন অধিকারী পরিবারকে৷ সেই সঙ্গে এই সভা থেকেই দিলেন এক তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত৷ প্রশ্ন ছিল ভোটে জিতলে নন্দীগ্রাম থেকেই কি শপথ নেবেন তিনি? এর স্পষ্ট জবাব না দিলেও, দিলেন ইতিবাচক বার্তা৷ বললেন, দেখা যাক৷ নন্দীগ্রাম কী চায়৷
আরও পড়ুন- ‘‘আমি বাইরের মেয়ে? তুই কবে নন্দীগ্রামের ছেলে হলি? ’’ শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ মমতার
এদিন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর দাওয়াই, জনগণের পাহারাদার হয়ে একমাস ধরে ভোটবাক্স পাহারা দিতে হবে৷ আমিও দেখতে চাই আপনারা কী ভাবে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম থেকে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে একটা দফতর এখানেও করা হবে৷ যাতে এই কেন্দ্রের সকল মানুষ সমস্ত রকম পরিষেবা পায়৷ কালিঘাটেও এমনই ব্যবস্থা আছে৷ ২৪ ঘণ্টা সেখান থেকে পরিষেবা দেওয়া হয়৷ আমি এখানে ওখানে ঘুরতে পারি৷ কিন্তু মানুষ যেন বঞ্চিত না হয়৷’’
আরও পড়ুন- ‘বিজেপি এসে বাংলা থেকেই তাড়াবে বাঙালিদের’, নন্দীগ্রামে চরম আক্রমণাত্মক মমতা
২ মে প্রকাশিত হবে বঙ্গ ভোটের ফল৷ জিতলে দিদি যেন নন্দীগ্রাম থেকেই শপথ নেন৷ এদিনের সভায় এমনিই আবদার করে বসেন দলীয় নেতা সামাদ৷ তাঁর আবদারের জবাবেই মমতা বলেন, ‘‘ভোটের ফল প্রকাশের অপেক্ষা৷ তারপর ঠিক করব কোথায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে৷ এটা ভাগ্য৷ ঈশ্বর-আল্লা তেরে নাম সবকো সুমতি দে ভগবান৷ যা হবে দেখা যাবে৷ খেলা হবে৷ খেলায় জেতার পর সামাদ বলছে শপথটা নন্দীগ্রামে নিতে হবে৷ দেখি আসমান কী চায়, রশনি কী চায়, হদলি নদী কী চায়, নন্দীগ্রাম কী চায়৷’’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৭ মে কলকাতার রেড রোডে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই তুলনায় এবার তাঁর আত্মবিশ্বাস খানিকটা কি কম? কারণ ইচ্ছা থাকলেও জোড় গলায় ঘোষণা করলেন না জিতলে নন্দীগ্রাম থেকেই শপথ নেবেন তিনি৷ সবটাই ছাড়লেন ঈশ্বর, প্রকৃতি, ভাগ্য আর নন্দীগ্রামের মানুষের হাতে৷