নয়াদিল্লি: আমাদের দেশে বহু মানুষেরই টিকার দুটি ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ বহু মানুষ অন্তত একটি ডোজ নিয়ে নিয়েছেন৷ কিন্তু করোনার নয়া রূপের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে ভারতের দুটি ভ্যাক্সিন? এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ ওমিক্রন নিয়ে যথেষ্ট তথ্য তাঁদের হাতে এখনও আসেনি৷
আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রীদের জন্য সংশোধিত নির্দেশিকা প্রকাশ কেন্দ্রের! আতঙ্ক ‘ওমিক্রন’
তবে ওমিক্রন নিয়ে সর্ব প্রথম সতর্ক করা দক্ষিণ আফ্রিকার ওই চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজের বক্তব্য, ‘‘গত ১০ দিনে অন্তত ৩০ জন করেনা আক্রান্ত রোগী দেখেছি, যাঁরা ওমিক্রন রূপে সংক্রমিত। তবে তাঁদের কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি। তাঁদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ যা একেবারেই উদ্বেগজনক বলে মনে হয়নি।’’ কোয়েটজের সুর শোনা গিয়েছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞর গলাতেও৷ তাঁদের কথায়, জোড়া টিকা নেওয়া থাকলে আপনি অনেকটাই সুরক্ষিত৷ কিন্তু যাঁদের এখনও জোড়া টিকা হয়নি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ করোনা টিকাই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন অংশকে নিশানা করে। এই স্পাইক প্রোটিন অংশই মানব কোষে প্রবেশ করে। টিকা মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে৷ যা করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে৷ শরীরে ভাইরাস ঢুকলেই আক্রমণ করে। ওমিক্রনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এর স্পাইক প্রোটিনের অন্তত ৩০টি মিউটেশন হয়ে গিয়েছে৷ মিউটেশনের পরিমাণ যত বাড়বে ততই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধোঁকা দেওয়ার ক্ষমতাও বাড়বে ভাইরাসের৷ এর থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হল টিকা৷ মিউটেশনের পরিমাণ বেশি হওয়ারজেরে অপেক্ষাকৃত বেশি সংক্রামক ওমিক্রন৷ তাই দ্রুত সম্পূর্ণ টিকারণের উপর জোড়া দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
টিকার দুটি ডোজ নেওয়া ব্যক্তি ডেল্টায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে ৯ ভাগের এক ভাগ৷ কিন্তু টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের সংক্রমিক হওয়ার আশঙ্কা টিকা নেওয়া ব্যক্তির তুলনায় প্রায় ৩ গুণ বেশি৷ দেখা গিয়েছে দুটি টিকা নেওয়া ব্যক্তির ডেল্টার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা অনেক বেশি৷ আক্রান্ত হলেও তাঁরা দ্রুত সেরে ওঠেন৷ মনে করা হচ্ছে টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবেন৷ যবে ওমিক্রন নিয়ে এখনও যথেষ্ট তথ্য বিশেষজ্ঞদের হাতে নেই৷ করোনার এই নয়া রূপ নিয়ে গবেষণা চলছে৷ তবে এখনও অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলছেন বিজ্ঞানী৷