নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের কারণে এখন আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব। প্রায় একই রকম অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ভারতে কারণ বিগত কয়েক দিনে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। এখন এই প্রজাতির কারণে যদি পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় তাহলে সামগ্রিকভাবে আরো জটিল সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে দেশের মানুষকে। সেই কারণে আগে থেকে সতর্ক হয়ে উঠছে কেন্দ্রীয় সরকার। কয়েকদিন আগেই আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে কিন্তু এখন এই নতুন প্রজাতির আতঙ্কে সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করা হল।
১ ডিসেম্বর রাত বারোটা থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকরী হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আপাতত যে দেশগুলি এই নতুন প্রজাতির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ সেই সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক এবং কেউ যদি পজিটিভ হয় তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। এর পাশাপাশি ওই বিমানে বাকি যাত্রীদেরও কমপক্ষে সাত দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে ঝুঁকির বাইরে যে দেশ গুলি রয়েছে সেই সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ৫ শতাংশকে টেস্ট করানো হবে। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস নেগেটিভ হওয়া যাত্রীদেরও ন্যূনতম সাতদিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ৮ দিনের মাথায় ফের হবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা।
মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শুরু করে ব্রাজিল, চিন, নিউজিল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুরের মতো দেশ করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নতুন প্রজাতিকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতকে। যদিও এই নতুন ভাইরাস প্রজাতিকে নিয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে যে এটি আদতে কতটা ভয়ঙ্কর সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম।