সম্মতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও ধর্ষণের সমান, ঐতিহাসিক রায় হাইকোর্টের

সম্মতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও ধর্ষণের সমান, ঐতিহাসিক রায় হাইকোর্টের

তিরুবনন্তপুরম:  স্ত্রীর শরীরের উপর বাড়তি অধিকার নেই স্বামীর৷ বৈবাহিক ধর্ষণও বিবাহ বিচ্ছেদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ৷ কারণ স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণেরই সমান৷ এটা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের সমতুল্য৷ ঐতিহাসিক রায় দিল কেরল হাইকোর্ট৷ 

আরও পড়ুন- বদলে গেল বাইক চাপার নিয়ম, গুচ্ছ বিধি নিষেধ জারি করল কেন্দ্র

বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিবাদ রয়েছে৷ এই বিষয়ে কেন্দ্রের নিজের মত রয়েছে৷ আদালতেও দীর্ঘ দিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে টানাপোড়েন চলেছে৷ অবশেষে কেরল হাইকোর্টের রায়ে বৈবাহিক ধর্ষণে স্বীকৃতি মিলল৷ এই রায়ে বলা বয়েছে, স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে দু’জনেরই সমান অধিকার রয়েছে৷ প্রসঙ্গত, ৬ বছর ধরে যে মামলা চলছিল, এদিন সেই রায়ই এদিন সামনে এসেছে৷ কেরল হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের রায় গোটা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত৷

বৈবাহিক ধর্ষণ এখনও ভারতীয় দণ্ডিবিধির আওতাভুক্ত হয়নি৷ ফলে বৈবাহিক ধর্ষণ এখনও আমাদের সমাজে শাস্তিযোগ্য নয়৷ তবে কেরল হাই কোর্টের রায়ে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া জোড় করে সম্পর্ক স্থাপনের টেষ্টা বৈবাহিক ধর্ষণ বলেই বিবেচিত হবে৷  বৈবাহিক ধর্ষণ ডিভোর্সের কারণও হতে পারে৷ প্রসঙ্গত, ৩০ জুলাই এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কেরল হাইকোর্টের বিচারপতিরা৷ সেই রায় আজ সামনে এসেছে৷ এখানে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি তুলে ধরা  হয়েছে৷  বলা হয়েছে, আমাদের দেশে যে আইন রয়েছে তার পুনঃসংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে৷ বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টি আইনে যুক্ত করা উচিত৷

এ প্রসঙ্গে আইনজীবী অর্ণব গুহঠাকুরতা বলেন, কেরল হাইকোর্টের এই রায়ের ১৩ নম্বর প্যারাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ যেখানে বলা হয়েছে, বিবাহ করলেই কারও শরীরের উপর কারও অধিকার বর্তায় না৷ বিবাহে স্বামী স্ত্রীর সমান অধিকার রয়েছে৷ এই রায় খুবই প্রাসঙ্গিক৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *