কলকাতা: থমিকে আরও ৫৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্ট৷ পাশাপাশি তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে সব মিলিয়ে ২৫৫ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হল৷
আরও পড়ুন- ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত-সায়গল
বৃহস্পতিবার ৬১ জন ‘অবৈধ’ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে। তাঁদের নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর ৫৯ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁরা আর স্কুলে যেতে পারবেন না৷ পাশাপাশি তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে কর্মরত বাকি ২ আবেদনকারীর মামলা পরে শুনবে আদালত৷
বুধবারই ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। প্রাথমিকে বেআইনি ভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৪৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদনের শুনানি ছিল বুধবার। এদিন বিচারপতি তাঁদের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেন। ১৪৬ জনের মধ্যে ১৪৩ জনেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখেন তিনি৷ অবিলম্বে তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আরও ৫৯ জনের চাকরি বাতিল করলেন তিনি৷
এর আগে ডিসেম্বরেও প্রাথমিকে কর্মরত ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবারের নির্দেশের পর সব মিলিয়ে ২৫৫ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হল।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে কারচুপি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গত বছরই ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষকেরা। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাঁদের সাফ জানায়, কলকাতা হাই কোর্টেই তাঁদের মামলা শোনা হবে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>