নয়াদিল্লি: ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর’৷ আক্ষরিক অর্থেই তাই৷ কিন্তু কখনও কখনও এই বিশ্বাসই হয়ে ওঠে চরম বাস্তব৷ এর প্রমাণও মিলেছে বহু বার৷ যাঁরা জ্যোতিষের ভবিষ্যৎবাণীতে বিশ্বাস করেন, তাঁরা সকলেই কম বেশি বাবা ভাঙ্গার নাম শুনে থাকবেন৷ ভ্যানগেলিয়া গুস্টেরোভা ওরফে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী নাকি কখনও মিথ্যে হয় না। একাধিক বিষয়ে তাঁর করা ভবিষ্যৎবানী মিলে গিয়েছে অক্ষরে অক্ষরে! তিনি আজও অনেকের কাছে রহস্যময়৷ দৃষ্টিহীন, অথচ তাঁর ভাবীকথনে অদ্ভূত জোর৷ আগামী বেশ কয়েক বছরে ঘটতে চলা একাধিক ঘটনার কথা তিনি বলে গিয়েছেন। যার ৮৫ শতাংশই নির্ভুল প্রমাণিত হয়েছে৷
আরও পড়ুন- কাঁধে ঝুলছে ব্যাগ, ভোররাতে শ্রদ্ধার দেহাংশ নিয়ে হাঁটছেন আফতাব? CCTV ফুটেজে সন্দেহ পুলিশের
উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে চেরিনোবিল দুর্ঘটনা, ব্রিটেনের যুবরানি ডায়নার মৃত্যু, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া৷ ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল, তারও আগাম ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা৷ এমনকী তিনি এও বলেছিলেন, ২০২২ সালে প্রবল খরা হবে৷ একাধিক শহরে পানীয় জলের জন্য হাহাকার পড়বে। ইউরোপের বেশ কিছু শহরে তেমনটা ঘটওছে! তাঁর আরও কিছু গণনা এমন নিখুঁতভাবে মিলে গিয়েছে যে, শুনলে শিরদাঁড়া দিয়ে বয়ে যায় ঠান্ডা স্রোত! এখন প্রশ্ন আগামী দিনের জন্য আর কী কী সঙ্কেত দিয়ে গিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা?
আর কয়েক দিন পরেই শুরু হবে নতুন বছর৷ ২০২৩ সাল নিয়ে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন ভ্যানগেলিয়া গুস্টেরোভা৷ তিনি বলে গিয়েছেন, ২০২৩ সালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধবে৷ হবে ভিনগ্রহীদের আক্রমণ৷ ঘটবে সৌর সুনামি, পারমাণবিক বিস্ফোরণ৷ ভারত নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা! কী বলে গিয়েছেন তিনি?
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ- আজকের দিনে দাঁড়িয়ে জোর দিয়ে বলা যায় না তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অসম্ভব৷ কারণ, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। সেই যুদ্ধের আগুন এখনও নেভেনি৷ বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী, কোনও একটি দেশ জৈব অস্ত্রের প্রয়োগ করবে। এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হুঁশিয়ারি, ইউক্রেনকে পর্যদস্তু করতে প্রয়োজনে তিনি পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োগ করতেও পিছপা হবেন না! সেই সঙ্গে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের হাতে জৈব অস্ত্র রয়েছে৷ ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অসম্ভব নয়৷
সৌর সুনামি- আরও একটি ভয় ধরানো ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন বাবা ভাঙা। তাঁর কথায়, পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়বে সৌর ঝড় বা সৌর সুনামি৷ আগুনের হলকায় বহু মানুষের মৃত্যু হবে৷ পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রেরও পরিবর্তন ঘটবে!
ভিনগ্রহীর হামলা- ভিনগ্রহীদের নিয়ে পৃথিবীবাসীর আগ্রহের অন্ত নেই৷ সেই ভিনগ্রহীরাই পৃথিবীর উপর আক্রমণ হানবে আঁধার ঘনালে। মৃত্যু হবে কোটি কোটি মানুষের!
এশিয়ায় পারমাণবিক বিস্ফোরণ- তাঁর করে যাওয়া আতঙ্কের ভবিষদ্বাণীর মধ্যে রয়েছে এশিয়ায় পারমাণবিক বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের ফলে গোটা এশিয়া মহাদেশে ছড়িয়ে যাবে ক্ষতিকর গ্যাস। বিষাক্ত মেঘে ঢাকা পড়বে মহাদেশের আকাশ। ভয়ঙ্কর রোগ বাসা বাধবে মানুষের শরীরে৷
পরীক্ষাগারে মানবশিশুর জন্ম- ল্যাবরেটরিতে মানবশিশুর জন্ম নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা। আইভিএফ পদ্ধতিতে শিশু জন্ম তারই একটা উদাহরণ। তবে, বাবা ভাঙ্গা যা বলে গিয়েছেন, তাতে ল্যাবরেটরিতে উৎপাদিত মানবশিশুর ত্বকের রং থেকে শরীরের গঠন, সবটাই হবে পূর্ব নির্ধারিত।
ভারত নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী- ভারত নিয়েও ভিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন এই রহস্যময়ী৷ তিনি বলেছিলেন, ২০২২ সালে ভারতে পঙ্গপালের আক্রমণ বাড়বে৷ অনাহারে থাকা মানুষের সমস্যা আরও প্রকট হবে৷ পঙ্গপালের আক্রমণ আরও তীব্র হয়ে উঠবে যখন সমগ্র পৃথিবীর উষ্ণতা কমতে থাকবে। ধ্বংস হবে মাঠের পর মাছ ফসল! দেশজুড়ে দেখা দেবে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ৷ প্রসঙ্গত, এই বছর শেষ হতে এখনও কিছু সময় বাকি রয়েছে৷
পৃথিবীর কক্ষপথের পরিবর্তন হবে- বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী, ২০২৩ সালে পৃথিবীর কক্ষপথের পরিবর্তন ঘটবে৷ যার ফল হবে ভয়ঙ্কর! তাছাড়া ২০২৮ সালে মানুষ শুক্রগ্রহে পা রাখবে বলেও দাবি ছিল তাঁর৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>