আইনত যৌনকর্মীর না বলার অধিকার থাকলেও বিবাহিত নারীর নেই: দিল্লি হাই কোর্ট

আইনত যৌনকর্মীর না বলার অধিকার থাকলেও বিবাহিত নারীর নেই: দিল্লি হাই কোর্ট

নয়াদিল্লি: বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই মামলা চলছিল দিল্লি হাই কোর্টে। বুধবার সেই মামলারই রায় ঘোষণা করে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে মামলার রায় ঘোষণার সময় তাঁরা ছিলেন দ্বিধাবিভক্ত। সেই কারণেই আবেদনকারীকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অনুমতি দেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন- দেশে সক্রিয় হয়ে উঠছে আল-কায়দা, বাংলায় বাড়াচ্ছে শক্তি?

এই মামলার রায় ঘোষণার সময় দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি রাজীব শকধর বলেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এটি ব্যতিক্রম। স্ত্রীয়ের অসম্মতিতেও স্বামীরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন৷ তবে এটি ‘নৈতিকভাবে গ্রহণীয় নয়’। তিনি মনে করেন বৈবাহিক ধর্ষণ একটি অপরাধ৷ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘জটিল সামাজিক সমস্যাগুলি সমাধান করা ও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা আদালতের দায়িত্ব৷ আমরা সেগুলিকে  পাশ কাটিয়ে যেতে পারি না।’’

এর পরেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারার ২ নং ব্যতিক্রম তুলে ধরে বিচারপতি শকধের তাঁর রায়ে বলেন, ‘আইনত যৌনকর্মীরা শারীরীক সম্পর্ক স্থাপনে না বলতে পারেন৷ তবে বিবাহিত স্ত্রীরা সেটা পারেন না। যদি কোনও মহিলার স্বামী তাঁর স্ত্রীর উপর গণধর্ষণে যুক্ত থাকেন, তাহলে তিনি সম্পর্কের খাতিরে পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু বাকি অভিযুক্তরা ধর্ষণের সাজা ভোগ করবেন৷ এক্ষেত্রে  ধর্ষণকারী স্বামীর কিছুই হবে না।’

বিচারপতি শকধের আরও বলেন, ‘এই আইন এমন মতবাদকে স্বীকৃতি দেয় যেখানে একজন বিবাহিত মহিলা নিজের যৌন অধিকার হারায়৷ মনে করা হয় তিনি স্বামীর সম্পত্তি ছাড়া কিছুই নন।’ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ,  এভাবে নারীকে সংবিধানের প্রদান করা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। তিনি মনে করেন, ‘স্বামী যৌন নিপীড়নকে ধর্ষণ বলে আখ্যায়িত করা উচিত৷