নয়াদিল্লি: বেলাগাম সংক্রমণে দিশেহারা গোটা দেশ৷ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে৷ তবে করোনা রিপোর্ট নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে৷ দেখা গিয়েছে এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁদের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও টেস্টের রিপোর্ট আসছে নেগেটিভ৷ ফলে চিকিৎসায় ভুল হয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে?
আরও পড়ুন- ঋতুস্রাবের পাঁচ দিন আগে ও পরে নেওয়া যাবে করোনা টিকা? সঠিক তথ্য জানাল কেন্দ্র
করোনা চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকরী হলেও, কোনও টেস্টই ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যায় না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ আর টেস্টের ফলাফল চিকিৎসায় বড়সড় প্রভাব ফেলছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ সংবেদনশীলতা রয়েছে৷ যার অধিকাংশটাই নির্ভর করে রোগী ঠিক মতো সোয়াব দিয়েছেন কিনা তার উপর৷
ভুল রিপোর্ট অন্যতম কারণ হিসাবে মানুষের ভুলকেই চিহ্নিত করা হচ্ছে৷ টেস্টিং সেন্টারগুলির বাইরে লম্বা লাইন আর বিপুল চাপে গন্ডোগোল বাধছে৷ তাছাড়া আরটি-পিসিআর টেস্ট নির্ভর করে সময়ের উপর৷ যেমন কোন সময় এবং কী ভাবে এটা নেওয়া হচ্ছে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ যদি ঠিক মতো সোয়ার ভিতরে ঢোকানো না হয়, তাহলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভাইরাল লোড সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না৷
আরও পড়ুন- দেশের অর্থনৈতিক গতিতে কামড় বসাচ্ছে করোনা, জমছে আশঙ্কার মেঘ
ভুল রিপোর্ট আসার আরও একটি কারণ হল লো ভাইরাল লোড৷ কেউ যদি খুব তাড়াতাড়া টেস্ট করিয়ে নেয়, তাহলে পরীক্ষার ফল ভুল আসার সম্ভাবনা প্রবল থাকে৷ ফলে টেস্ট করানোর আগে ন্যূনতম ৩ থেক ৪ দিন অপেক্ষা করা উচিত৷ এছাড়াও বলা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্ভবত বেসিক টেস্টিং কিটে ধরা পড়ছে না৷ যদিও এই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও প্রমাণ মেলেনি৷ যদি কোনও রোগীর মধ্যে লক্ষণ থাকলেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তাহলে ৩-৪ দিন অপেক্ষা করে ফের টেস্ট করানো উচিত৷ কারণ ভুল রিপোর্ট পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে৷
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে৷ যেখানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জেনোমিকসের অধিকর্তা অনুরাগ আগরওয়ালকে বলে শোনা গিয়েছে, আরটি-পিসিআর টেস্টে কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির রিপোর্ট নেগেটিভ আসতেই পারে। তবে সেই ‘ফলস নেগেটিভ’ রিপোর্টের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই নয়া ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের ।