জয়পুর: ‘ঘুষ তো মন্দিরের প্রসাদ৷ কেউ তা দিলে মানা করতে নেই!’ ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে আজব সাফাই সরকারি আধিকারিকের৷ সরকারি পদে বসে অফিসারের এহেন বুলিতে শোরগোল রাজ্যে৷
আরও পড়ুন- নিম্নগামী দেশের কোভিড গ্রাফ, পরিসংখ্যানে আজ বড় স্বস্তি
দুর্নীতি দূর করতে উঠে পড়ে লেগেছে রাজস্থান সরকার৷ স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে মরিয়া তাঁরা৷ এরই মধ্যে সরকারি আধিকারিকের এহেন মন্তব্যে শোরগোল বেঁধেছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে একেবারে রাজধানী জয়পুরে৷ বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখার কাছে খবর ছিল যে, জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে৷ আধিকারিক থেকে কর্মী, ঘুষ নিচ্ছেন সকলেই৷ সেই খবরের ভিত্তিতেই অফিসে হানা দেয় দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। একটা বড়সড় ঘুষকণ্ডের পর্দা ফাঁস করেন তাঁরা। এই ঘটনায় এক আধিকারিক-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র অফিস থেকে ধৃত আধিকারিকের নাম মমতা যাদব। উল্লেখ্য বিষয় হল, হাতেনাতে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েও তিনি নির্লজ্জের মতো বলেন, ‘ঘুষ মন্দিরের প্রসাদ।’
দুর্নীতিদমন শাখার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জয়পুরের সিদ্ধার্থনগরের এক বাসিন্দা অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁরা অভিযানে নামে৷ তিনি জানান, তাঁরা দুই বন্ধু জমির পাট্টা নেওয়ার জন্য জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু সাখানে গেলে তাঁদের জানানো হয় পাট্টা হাতে পেতে গেলে টাকা লাগবে৷ সরকারি অফিসার মমতা যাদবকে ছ’লক্ষ টাকা এবং ইঞ্জিনিয়র শ্যাম মালুকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে তাঁদের। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বজরং সিং৷ তিনি একটি দল গঠন করে নজরদারি চালাতে শুরু করেন৷
পরিকল্পনা মাফিক টাকা সঙ্গে নিয়ে জমির পাট্টা নিতে পৌঁছন অভিযোগকারী৷ তাঁর সঙ্গে সাধারণ পোশাকে অফিসারের ঘরে ঢোকেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। সেই সময় অফিসের বাইরেই দাঁড়িয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়র মালু। ওই অফিসার ঘুষের টাকা নিতেই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। তাঁকে জেরা করে ওই অফিসেরই আরও তিন কর্মীকে ধরেন দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা৷ জেরার পর গ্রেফতার করা হয় মমতাকে। তাঁর ঘর থেকে নগদ এক লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়৷