জলপাইগুড়ি: বিসর্জনের সময় বিভিষিকা৷ জলপাইগুড়ির মাল নদীতে আচমকা হড়পা বানে তহলিয়ে মৃত্যু হল আট জনের৷ একাদশীর সকালেও শেষ হয়নি উদ্ধার কাজ৷ এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- ‘সকালে দুটো রুটি, রাতে তা-ও জোটে না’, জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শান্তিপ্রসাদ
প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে মালবাজারে৷ বৃষ্টির জেরে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে উদ্ধার করে মালবাজারের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আট জন মহিলা বলে জানা গিয়েছে৷
বুধবার প্রতিমা বিসর্জন করতে মাল নদীর তীরে এসে দাঁড়িয়েছিল বহু গাড়ি। বিসর্জন দেখতে এসেছিলেন বহু মানুষ। বহু শিশু ও মহিলা নদীর ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। এরই মাঝে আচমকাই হড়পা বান চলে আসে। এক ধাক্কায় নদীর জলস্তর অনেকখানি বেড়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জলের ধাক্কায় ভেসে যান অনেকে।
জলপাইগুড়ির মাল নদীতে দেবী বিসর্জনের সময় হড়পা বানে ভেসে গেলেন অর্ধশতাধিক মানুষ। মৃত বহু। দেখুন সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো…#Jalpaiguri #flashflood #DurgaPuja pic.twitter.com/y3ZyTA9H71
— Hindustan Times Bangla (@HT_Bangla) October 6, 2022
স্থানীয়দের মতে, নদীর গতিপথ বদলানো হয়েছে। প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে নদীর মাঝামাঝি যেতে হয়েছিল দর্শনার্থীদের। আচমকা জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় এই বিপর্যয়। বিসর্জনের সময় নদীর পাড়ে উদ্ধারকারী দল ছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অন্য দিকে, মালবাজার হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতির জেরে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে বুধবার রাতে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত।
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হড়পা বান আসে। জলের স্রোতে কিছু মানুষ ভেসে যান। কয়েক জন আবার নদীর মাঝে থাকা একটা চরে আশ্রয় নেন। যাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁদের সকলকেই উদ্ধার করে আনা হয়েছে।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>