৩ মাসের শিশুকে ফেলে স্মৃতিহারা করোনা আক্রান্ত বাবা

৩ মাসের শিশুকে ফেলে স্মৃতিহারা করোনা আক্রান্ত বাবা

কলকাতা:  খাস কলকাতায় এলগিন রোডে চাঞ্চল্যকর ঘটনা৷ ৩ মাসের শিশুকে পথে ফেলে পালানোর চেষ্টা৷ সন্দেহ হওয়ায় এক ব্যক্তিকে আটকায় স্থানীয়রা৷ খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কাউন্সিলর ও ভবানীপুর থানায়৷ এদিকে হাতেনাতে ধরা পরার পর নিজেকে আইনজীবী হিসাবে পরিচয় দেন ওই ব্যক্তি৷ ওই শিশুটির বাড়ি কাঁকুরগাছিতে বলে জানা গিয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- দাঁড়ালই বা কেন, আর পদত্যাগই বা কেন করল! নিশীথকে নিয়ে প্রশ্ন উদয়নের

শিশুটিকে উদ্ধার করার পর কাউন্সিলরের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়৷ কাউন্সিলরের স্ত্রীর কোলেই নিরাপদে রয়েছে শিশুটি৷ জানা গিয়েছে, আজ সকাল ১০টা নাগাদ ৬ নম্বর এলগিন রোড বা লালা রাজপত রায় সরণীতে এক ব্যক্তিকে ইতস্তত ঘুরতে দেখা যায়৷ তাঁর কোলে একটি ৩ মাসের পুত্র সন্তান ছিল৷ শিশুটিকে রাস্তায় বসিয়ে দেয় ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি৷ বিষয়টি নজরে আসতেই হুলস্থূল বাধে৷ এর পরেই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অসীম কুমার বোসকে বিষয়টি জানানো হয়৷ খবর দেওয়া হয় ভবানীপুর থানাতেও৷ পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিটিকে আটক করে৷  পুলিশকে সামনে নিজেকে আইনজীবী বলেই উল্লেখ করেন তিনি৷ 

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাউন্সিলার বলেন, ‘‘আজ সকালে আমার কাছে একটা ফোন আসে৷ যেখানে বলা হয় এলগিন রোডে ফুটপাতের উপর একটি বাচ্চাকে এক ব্যক্তি ফেলে রেখেছে৷ এবং বিভিন্ন লোককে বাচ্চাটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্যে বলছেন৷ খবর শুনেই সেখানে পৌঁছই৷ ভবানীপুর থানার পুলিশও আসে৷ সেখান থেকে ওই ব্যক্তিতে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ৷’’ তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি সব কথা ঠিকঠাক বললেও, তাঁর বাড়ি কোথায় বলতে পারছিলেন না৷ কোনও ব্যক্তি নিজের ঠিকানা বলতে না পারলে, তাহলে ধরে নিতে হয় উনি মানসিক ভাবে অসুস্থ৷ 

সংবাদ মাধ্যমে এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি প্রচার করেন কাউন্সিলর নিজে৷ এর পরেই শিশুটির পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়৷ অসীম কুমার বসু জানান, শিশুটির সঙ্গে থাকা ওই ব্যক্তির নাম অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়৷ যদিও প্রথমে নিজেকে জয়দীপ সেন নামে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি৷ কাউন্সিলর আরও বলেন, তাঁর পরিবার জানিয়েছে, উনি গতকাল রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান৷ কিন্তু আজ সকালে ফের বাড়িতে ফেরেন এবং শিশুটিকে নিয়ে বেরন৷ তিনি গাড়ি নিয়ে যান৷ এর পর ফুলবাগান থানায় পরিবারের তরফেও ডায়েরি করা হয়৷ তিনি জানান, শিশুটির নাম দ্বিজ মুখোপাধ্যায়৷ দুই পিসামশাই শিশুটিকে নেওয়ার জন্য আসছেন৷ তাঁদের হাতেই শিশুটিকে তুলে দেওয়া হবে৷ 

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর দাবি আর জেদের কারণেই কৃষকরা টাকা পেলেন! দাবি রাজ্যের

কউন্সিলর আরও জানান, গতকাল অনির্বাণবাবুর আরটি-পিসিআর রিপোর্ট পজেটিভ আসে৷ এর পরেই তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন৷ কাউন্সিলারের স্ত্রী বলেন, শিশুটিকে যখন আনা হয় ও সম্পূর্ণ ভিজে গিয়েছিল৷ ওকে সেই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় যা যা করার দরকার আমরা করেছি৷ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি৷ ও কে, কোথা থেকে এসেছে এসব কিছু আমরা ভাবিনি৷    
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *