মুখ্যমন্ত্রীর দাবি আর জেদের কারণেই কৃষকরা টাকা পেলেন! দাবি রাজ্যের

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি আর জেদের কারণেই কৃষকরা টাকা পেলেন! দাবি রাজ্যের

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি এবং হস্তক্ষেপের জেরেই রাজ্যের ৭ লক্ষের বেশি কৃষক ‘কিষান সম্মান নিধি’ প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন বলে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে আজ টুইট করে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাঠানো হয়েছে। রাজ্য সরকার আগামী দিনেও কৃষকদের স্বার্থে লড়াই করে যাবে বলে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর ‘কিষান সম্মান নিধি’ প্রকল্পের সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠানে রাজ্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।

কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই বাংলার কৃষকদের জন্য ১৮ হাজার টাকা করে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গের ২২ লক্ষ কৃষককে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়ে নমোকে চিঠি দেন মমতা। গত দুই মাসে নরেন্দ্র মোদী ভোট প্রচারে বাংলায় এসে প্রতিবারই অভিযোগ করেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বাংলায় পিএম কিষাণ প্রকল্প চালু হতে দেয়নি। তার ফলে বাংলার চাষিরা দু’বছরে ১২ হাজার টাকা করে অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সেই টাকাই পাঠানোর কথা চিঠিতে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং পিএম কিষান সম্মান নিধির অষ্টম কিস্তির অর্থ প্রদান করে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আজ সারা দেশের প্রায় ১০ কটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১৯,০০০ কোটি টাকা পৌঁছে যাচ্ছে একই সঙ্গে বাংলার লক্ষ লক্ষ কৃষকের সুবিধা পেতে চলেছেন। তিনি এটাও আরও একবার মনে করিয়ে দেন যে, রাজ্য সরকার যে হিসাবে নামের তালিকা পাঠাবে ঠিক তেমন ভাবেই কিস্তি মারফত সেইসব কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে।

 

যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে দাবি করেছেন সেই দাবি সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়ে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দাবি করেছেন, এত বড় মাপের জয় পাওয়ার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের নিচু মানসিকতা যাচ্ছে না। এতদিন ধরে তিনি নিজে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বাংলার সাধারণ কৃষকদের পেতে দেননি। এখন এই টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার নিজেদের ধ্বজা ওড়াচ্ছে। এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন বাবুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *