নয়াদিল্লি: আধার কার্ডের সঙ্গে প্যান কার্ডের সংযুক্তিকরণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ৩১ মার্চের মধ্যে এই সংযুক্তিকরণ সেরে ফেলতে হবে৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আধার ও প্যান লিঙ্ক করা না হলে, প্যান কার্ডের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে বলেই কেন্দ্রের নির্দেশিকা স্পষ্ট করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যাতিক্রমও রয়েছে। যা অনেকেরই অজানা৷ নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য এই সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক নয় বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- মমতা-নবীন ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’, বৈঠকের সারমর্ম কৌতূহল বাড়াল
দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ক্ষেত্রে এই ব্যতিক্রম রয়েছে৷ ২০১৭ সালের কর আদায়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, মোট চারটি ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম রয়েছে। প্রথমত, অসম ও মেঘালয়ের বাসিন্দারা এই নিয়মের আওতার মধ্যে পড়বেন না। জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্যেও প্যান-আধারের সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক নয়৷ এছাড়াও বলা হয়েছে, ৮০ বছরের উর্ধ্বে যে সকল ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন, তাঁরাও এই সংযুক্তিকরণের আওতায় পড়েন না৷ প্রবাসী ভারতীয় বা বিদেশি নাগরিকদের জন্যেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যেই আধার ও প্যান কার্ডের সংযুক্তিকরণ করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এর পর এক বছরের জন্য সেই সময়সীমা বাড়ানো হলেও, তার জন্য ধার্য করা হয় জরিমানা৷ শুধু তাই নয়, ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। তবে এই পদক্ষেপের জন্য বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্রেক সরকার।
সম্প্রতি এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী ৷ তিনি জানান, ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ এখনও প্রান্তিক এলাকায় বসবাস করেন। তাদের অনেকের কাছেই ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছয়নি। আধার এবং প্যানকার্ডের সংযুক্তিকরণ করাতে গিয়ে তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তার উপর বিশাল অঙ্কের জরিমানা৷ এতে তাঁদের উপর আরও চাপ বাড়ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়মের কোনও বদল ঘটেনি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>