কলকাতা: ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক৷ এবার থেকে চিঠি লিখতে হবে হিন্দিতে৷ অফিসের কাজকর্ম থেকে ফাইলে সই, সবটাই করতে হবে হিন্দিতে৷ ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্কের ঝড়৷
আরও পড়ুন- ভোট মিটলেই শিক্ষা পাবেন! বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে হুঁশিয়ারি অনুব্রতর
রাজ্যেরই একটি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্সকে এমনই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে৷ বলে হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সমস্ত চিঠি লিখতে হবে হিন্দিতে৷ এমনকী অফিসের যাবতীয় কাজকর্ম, ফাইলে সই, সমস্ত কিছুই হিন্দিতে করতে হবে৷ কেন্দ্রের এই নির্দেশ কেন মানা হচ্ছে না, তাও জানতে চাওয়া হয়৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দিতেই সমস্ত কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয় এই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷
যদিও কলকাতার বুকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিন্দিতে কাজকর্ম করার নির্দেশে বিতর্ক করা হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, পদার্থবিজ্ঞানে ভারতের প্রথম নোবেল বিজয়ী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন এই প্রতিষ্ঠানেই তাঁর নোবেল বিজয়ী গবেষণাটি সম্পন্ন করেছিলেন। বিরোধীরা বারবার বিজেপি’র বিরুদ্ধে হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ করেছে৷ ভোটের চারদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন নির্দেশে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে৷
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর দা কালটিভেশন অফ সায়েন্সের ডিন সৌমিত্র সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে একটি চিঠি এসেছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসের অংশ হিসাবে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিন্দির ব্যবহার আমাদের করতে হবে৷ অনেকদিন ধরেই এটা বলা হচ্ছিল৷ এই বিষয়ে আমরা রিপোর্টও পাঠিয়েছি৷ সম্প্রতি আরও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়, হিন্দু ভাষায় কাজরকর্ম নিয়ে যত শতাংশ কাজ হয়েছে, সেটা পর্যাপ্ত নয়৷’’
আরও পড়ুন- ঠাকুরবাড়ির সুব্রতকে ভোট প্রার্থী করে কৌশলী চাল বিজেপি’র
তিনি আরও বলেন, ‘‘যেহেতু আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ একটি সংস্থা তাই আমাদের অফিস সার্কুলার ইস্যু করতে হয়েছে৷ আমাদের সমস্ত অফিস ও ডিপার্টমেন্টে হিন্দি ভাষার ব্যবহার আরও একটু বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে৷ অফিস কর্মীদের সাহায্য করার জন্য একজন হিন্দি পার্ট টাইম অফিসারও রয়েছেন৷’’
১৯ মার্চে সংস্থার তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত চিঠিপত্রের ৫৫ শতাংশ হিন্দিতে লিখতে হবে। এমনকি, হিন্দিতে লেখা কোনও চিঠির জবাবও হিন্দিতেই দিতে হবে। ফাইলপত্রে ৩৩ শতাংশ নোট হিন্দিতে নিতে হবে। এছাড়াও বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের সমস্ত ফাইলের নাম হিন্দি এবং ইংরেজিতে থাকবে।