নয়াদিল্লি: অবসর জীবনে বেসরকারি কর্মচারীদের নিরাপত্তা বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। কর্মীদের পেনশন খাতে আরও বেশি টাকা সঞ্চয়ের সুযোগ করে দিল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা EPFO। যে সকল কর্মীরা এখনও নতুন এবং বর্ধিত পেনশন পদ্ধতি গ্রহণ করেননি, তাঁদের নতুন করে বর্ধিত পেনশন পদ্ধতি গ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সোমবার এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে৷ তাতে সমস্ত আঞ্চলিক এবং জোনাল অফিসকে বর্ধিত পেনশন নিয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- এবার কাঁপল অরুণাচল, ভূমিকম্প অসম-ভুটানেও, উত্তর-পূর্বে বারবার কম্পনই কি অশনি সঙ্কেত?
এখন প্রশ্ন হল এই বর্ধিত পেনশন প্ল্যান কী? EPFO-র অধীনস্থ সংস্থা এবং কর্মীর বেসিক বেতনের ১২ শতাংশ বেতন কেটে জমা করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে কর্মীর ১২ শতাংশের পুরোটাই জমা পড়ে যায় প্রভিডেন্ট ফান্ডে। কিন্তু সংস্থার যে ১২ শতাংশ টাকা দেয়, তা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এই ১২ শতাংশের মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ জমা পড়ে পেনশন প্রকল্পে। বাকি ৩.৬৭ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা পড়ে। পেনশন স্কিমে জমা পড়া ৮.৩৩ শতাংশের সঙ্গে সরকার ১.৬৭ শতাংশ অর্থ দেয়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে কর্মীর বেসিক বা মূল বেতনের ১০ শতাংশ অর্থ জমা পড়ে পেনশন প্রকল্পে। প্রায় ১৫ শতাংশ বেতন জমা হয় প্রভিডেন্ট ফান্ডে।
কিন্তু এই নিয়মের ক্ষেত্রেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কোনও কর্মীর বেসিক বেতন ১৫ হাজার টাকার বেশি হলে, পেনশনের ক্ষেত্রে তাঁর মূল বেতন ১৫ হাজার টাকা ধরে নেওয়া হত। অর্থাৎ ১৫ হাজার টাকার ৮.৩৩ শতাংশই পেনশন স্কিমে জমা দেওয়া হত। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে এই ১৫ হাজার টাকার সীমা তুলে দেওাৃয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলে পেনশনের ক্ষেত্রেও সব কর্মীর ‘আসল মূল বেতনের’ ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন স্কিমে কেটে নেওয়া হবে। অর্থাৎ যাঁদের মূল বেতন ১৫ হাজার টাকার বেশি এবার থেকে তাঁরা আরও বেশি পরিমাণ টাকা পেনশন প্রকল্পে জমা করতে পারবেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>