ইটানগর: সিকিম, মেঘালয়ের পর এবার কেঁপে উঠল অরুণাচলপ্রদেশের মাটি। রবিবার দুপুরে কম্পন অনুভূত হয় উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে। অরুণাচলের পশ্চিমাংশে ভূমিকম্প হয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভুটান সীমান্তের কাছে পশ্চিম কামেংয়ে। কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
আরও পড়ুন- GST বাবদ পাওনা অর্থ মেটানো হবে! সুখবর দিলেন অর্থমন্ত্রী
এনসিএস জানাচ্ছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৮। অরুণাচলের পাশাপাশি একই সময়ে ভূমিকম্প হয়েছে উত্তর-মধ্য অসম ও ভুটানের পূর্বপ্রান্তে। তবে ভূমিকম্পে কোনও প্রাণহানি হয়নি বলে খবর।
এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল অরুণাচলের মাটি৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৭। চলতি মাসেই ভূমিকম্প হয়েছে অসমে৷ এর আগে দফায় দফায় কেঁপেছে সিকিম ও মেঘালয়। উত্তর-পূর্ব ভারতে বার বার ভূমিকম্প কি কোনও অশনি সঙ্কেত?
ভূবিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা বলছেন, গোটা হিমালয়ের ভূস্তর ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে৷ এর ফলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের পরেও আফটার শক অনুভূত হচ্ছে। ভূবিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, হিমালয় অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশীয় প্লেটের মধ্যে রেষারেষির জেরেই এই অঞ্চলটি অতি মাত্রায় ভূমিকম্পপ্রবণ হয়ে উঠেছে। প্লেটগুলি নড়াচড়া করার সময় ইন্ডিয়ান প্লেটটি ইউরেশীয় প্লেটের নীচে সেঁধিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ সেই সময় মাটির নীচে বিশাল পরিমাণ শক্তি মুক্ত হচ্ছে। সেই শক্তির পরিমাপের উপরেই নির্ভর করছে ভূমিকম্পের মাত্রা।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূস্তরের ভেতরে ছোট ছোট কম্পনই বাঁচিয়ে দিচ্ছে ভারতকে৷ ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির ডিরেক্টর ওপি মিশ্রর কথায়, ভূস্তরের ভেতরে টেকটনিক প্লেটগুলোর অস্থিরতা বাড়ার ফলে যে সিসমিক ওয়েভ বা তরঙ্গ তৈরি হয়, সেটি বাইরে বেরিয়ে না এসে যদি সুপ্ত অবস্থায় থাকে, তাহলে বিপদ আরও বাড়ে। ভূঅভ্যন্তরে সৃষ্ট চাপ যদি মৃদু মৃদু কম্পনের আকারে বাইরে বিরেএ যায়, তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে ধ্বংসাত্মক কম্পনের সম্ভাবনা থাকে না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>