জালে পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, ভরা বসন্তে দেদার বিকেচ্ছ রুপোলি শস্য

জালে পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, ভরা বসন্তে দেদার বিকেচ্ছ রুপোলি শস্য

পূর্ব মেদিনীপুর: বাংলার ঋতুরঙ্গে খামখেয়ালির ছোঁয়া। কখনও ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বৃষ্টি তো কখনও আবার মার্চের সকালে লেগেছে শীতের পরশ৷ কিন্তু তা বলে বর্ষার রুপোলি শস্য ভরা বসন্তে! এতো কল্পনার বাইরে! এমনকী জালে ইলিশ দেখে চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না খোদ মৎস্যজীবীরাই৷ চৈত্র মাসে দীঘার সমুদ্রে উঠল ঝাঁক ঝাঁক ইলিশ৷ বাজার ভরল রুপোলি শস্যে৷ যা দেখে জিভে জল খাদ্য রসিকদের৷ আর দাম? তাও সাধ্যেরই মধ্যে৷ 

আরও পড়ুন- দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, পুড়ে ছাই নিউ আলিপুরে রঙের কারখানায়

গতবার বর্ষায় বেশ ভালোই ইলিশ হয়েছিল৷ তবে দাম ছিল বেশ চড়া৷ সেই তুলনায় বসন্তের ইলিশ বেশ সস্তাই মনে করছেন সৈকত শহরের বাসিন্দারা৷ জালে ইলিশ ওঠায় বেজায় খুশি মৎস্যজীবীরাও৷ বাজারে সস্তায় দেদার বিকোচ্ছে বড় সাইজের ইলিশ৷ দিঘা মোহানার বিভিন্ন আড়ত ভরেছে ইলিশের গন্ধে। ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। দেড় কেজি থেকে ২ কেজি হলে তার দাম পড়বে ১০০০-১৫০০ টাকা। বাজারে ৫০০-৭০০ গ্রামের ইলিশও রয়েছে৷ দাম ৫০০ টাকার আশেপাশে৷

দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “গত দু’ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কুইন্টাল ইলিশ উঠছে৷ গভীর সমুদ্রে লুকিয়ে রয়েছে এই রুপোলি শস্য৷ তবে, এর আগে কখনও মার্চ মাসে ইলিশ ওঠেনি৷ অধিকাংশ ইলিশেরই ওজন ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম। তবে এক-দেড় কেজির ইলিশও রয়েছে। সবথেকে বড় কথা হল, বসন্তের ইলিশ স্বাদে হার মানাচ্ছে বর্ষার ইলিশকেও।” তাই ইলিশ কিনতে উপচে পড়েছে মানুষের ভিড়৷