কলকাতা: পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা গোটা বাংলা। পঞ্চমীর সন্ধে থেকে নেমেছে মানুষের ঢল। কিন্তু এই উৎসবের আড়ালে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার বাড়বাড়ন্তের আশঙ্কা। কেরলের ওনামের পর রাজ্যজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা থেকে বাংলা কতটা শিক্ষা নিতে পেরেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷
আরও পড়ুন- এখানে দুর্গার বামে থাকেন গণেশ, কার্তিকের অবস্থান কলা বউয়ের পাশে, মেনুতে মাছ অপরিহার্য
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন৷ কিন্তু তাতে বিশেষ নজর নেই রাজ্যবাসীর৷ পঞ্চমীর সন্ধ্যায় যে ভাবে ভিড় উপচে পড়েছে, তাতে চিন্তায় পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ মানুষের মধ্যে করোনা বিধি মেনে চলার কোনও সদিচ্ছাই যেন নেই৷ এরই মধ্যে রাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কিছুটা কমায় খানিক স্বস্তিতে রাজ্য প্রশাসন৷ তবে এখনও চিন্তায় রেখেছে কলকাতা ও উত্তর পরগণা৷
রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৭৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৩৪ জন। পুজোর ভিড় থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি৷ কিন্তু পুজোর আগে ভিড়ে ঠাসা রাস্তা, হাট-বাজার-দোকানে গা ঘেঁষাঘেষি করে মানুষের কেনাকাটির হিড়িক নিশ্চিত ভাবেই রাজ্যে করোনার গ্রাফকে উর্ধ্বমুখী করেছে৷
গত বছরেও পুজোর পর বেড়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা৷ কিন্তু তা থেকেও মানুষ কোনও শিক্ষা নেয়নি৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, পুজোর কেনাকাটার ভিড়ই করোনা বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মহালয়ার পর থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনের ভিড়৷ পঞ্চমীর সন্ধ্যায় উপচে পড়া ভিড় দেখে চিকিৎসকদের আশঙ্কা, কালীপুজোর আগেই হয়তো ফের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হবে৷