লখনউ: অনুমতির পরেও রাহুল গান্ধীদের লখিমপুর খেরি সফর ঘিরে টানাপোড়েন৷ কংগ্রেস প্রতিনিধিদল লখনউ বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরেই তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। এমনকী পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টাও করা হয়৷ প্রতিবাদে লখনউ বিমানবন্দরেই ধর্নায় বসেন রাহুলের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল৷ রাহুল বলেন, কেমন অনুমতি দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার? আমাকে বিমান বন্দর থেকেই বেরতে দেওয়া হচিছে না৷ আধ ঘণ্টা পর অবশ্য সেখান থেকে রওনা দেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন- ২০৩ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন করোনা অ্যাকটিভ কেস! দেশে স্বস্তি
রাহুল আরও বলেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত গাড়িতে যেতে চাই৷ কিন্তু আমাকে জোড় করে তাঁদের গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে৷ ওঁর অন্য কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছে৷’ এদিকে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দিলেও এখনও সীতাপুরেই বন্দি রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ এরই মধ্যে লখনউ পৌঁছনোর আগে রাহুলের প্রশ্ন, ‘‘তৃণমূলকে ছাড় দিলে কংগ্রেসকে বাধা কেন? তিনি বলেন, দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে৷ উত্তরপ্রদেশে কোনও রাজনৈতিক নেতাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে ভয়ঙ্কর লুঠ চলছে। দেশের কন্ঠ রোধ করা হচ্ছে।’ পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেন, রাহুল গান্ধী সত্যকে বিকৃত করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন৷’’
সোমবার সকালেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে চিঠি পাঠিয়ে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল কংগ্রেস৷ ওই চিঠিতে জানানো হয়, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল লখিমপুর যেতে চায়। যদিও সেই সময় তাঁদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ পাশাপাশি কেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে সেই প্রশ্নও তুলেছিল কংগ্রেস৷ সেই সময় যোগী প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল আইন-শৃঙ্খলার দিকটি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে অনুমতি না মিললেও বাঘেল ও চন্নীকে নিয়ে লখনউয়ের বিমান ধরেন রাহুল৷ ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তিনজন লখিমপুরে যাবেন বলেও ঠিক হয়৷ তবে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিং জানান, নিহত কৃষকদের অন্ত্যেষ্টির পরেই লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে৷ সেই মতই কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে অনুমতি দেওয়া হল৷