মৃত্যু কমল দেশে, অ্যাকটিভ কেসও নিয়ন্ত্রণে, নতুন টিকা পেল অনুমোদন

মৃত্যু কমল দেশে, অ্যাকটিভ কেসও নিয়ন্ত্রণে, নতুন টিকা পেল অনুমোদন

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছে দেশ। করোনা ভাইরাস চতুর্থ ঢেউ আসবে এই রকম কোনও দাবি এখন আর করা হচ্ছে না। অধিকাংশের মতেই, করোনার চতুর্থ ঢেউ আর কোনও প্রভাব ফেলবে না। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশের কোভিড গ্রাফে আরও হেরফের হল আজ। গত ২৪ ঘন্টার তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল আজ। দৈনিক মৃত্যু কমল কিছুটা। অ্যাকটিভ কেস তুলনামুলকভাবে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

আরও পড়ুন-কী কারণে আগুন স্পষ্ট নয়, উপপ্রধান খুনের ঘটনায় ডিজিপি

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭৭৮। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৬০৫ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২ হাজার ৫৪২। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন দেশে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ২৩ হাজার ০৮৭ জন। দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। একই সঙ্গে দেশে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮১ কোটি ৮৯ লক্ষের বেশি ডোজ। তাহলে কি এটাই করোনার ইতি বলে মানা যাবে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে তাতে করোনাভাইরাস মানুষের মধ্যে থেকে যাবে, তবে আর বাড়াবাড়ি সৃষ্টি করবে না। তাই এই নিয়ে আরও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তাদের বক্তব্য, প্যানডেমিক এবং এন্ডেমিক হওয়ার পথেই চলে এসেছে।

এদিকে ১২-১৪ বছর বয়সিদের চিকিৎসায় জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে নোভোভ্যাক্স টিকাকে। কোভোভ্যাক্স ব্র্যান্ডের অন্তর্গত এই ভ্যাকসিনটিও তৈরি করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। কর্বেভ্যাক্স টিকা দেওয়া হচ্ছে তাদের। এই টিকার দুটি ডোজের ব্যবধান হবে ২৮ দিন। এই ভ্যাকসিনের দাম পড়ছে আনুমানিক ১৪৫ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দৈনিক সংক্রমণে লাগাম নেই, ঊর্ধ্বমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ

দৈনিক সংক্রমণে লাগাম নেই, ঊর্ধ্বমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিন ধরেই দেশের করোনা গ্রাফ ব্যাপকভাবে বদলাচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, মৃত্যু। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ পার হয়ে গিয়ে এখন ২ লক্ষও ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে। আজকের তথ্য বলছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমণ প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার ছুঁইছুঁই। পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও।

কেন্দ্রীয় বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮৩৩ জন৷ একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪০২ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৩ কোটি ৬৮ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৬২ এবং মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭৫২। এদিকে, দেশের সংক্রমণের হার গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ১৬.৬৬ শতাংশ। এদিকে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৯০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ২২ হাজার ৬৮৪ জন। বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৮২০। পাশাপাশি দেশে এখন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ০৪১ জনে।

তথ্য বলছে, দেশে মোট টিকার ডোজ হয়েছে ১৫৬ কোটির বেশি এবং যার মধ্যে গতকালই ৫৮ লক্ষ টিকার ডোজ পেয়েছেন দেশবাসী। দেশে করোনা এবং ওমিক্রন আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রই। উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি) এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সস্টিটিউট (আইএসআই)-এর একদল গবেষক দাবি করেছেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে এই করোনার দাপাদাপি। অর্থাৎ ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত আরও প্রায় দুই মাস সহ্য করতে হবে সাধারণ মানুষকে। ফেব্রুয়ারীর পর মার্চ বা এপ্রিলের শুরুর দিকে তলানিতে ঠেকবে করোনা সংক্রমণ বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়। পাশাপাশি এক চরম অনুমান-বার্তাও দেওয়া হয়েছে গবেষকদের তরফে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

২ লক্ষ ছুঁইছুঁই দেশের দৈনিক আক্রান্ত, বাড়ছে ওমিক্রনও

২ লক্ষ ছুঁইছুঁই দেশের দৈনিক আক্রান্ত, বাড়ছে ওমিক্রনও

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিন ধরেই দেশের করোনা গ্রাফ ব্যাপকভাবে বদলাচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, মৃত্যু। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ পার হয়ে গিয়ে এখন প্রায় ২ লক্ষের দোড়গোড়ায়। আজকের তথ্য বলছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে। সব মিলিয়ে দৈনিক আক্রান্ত দুই লক্ষ হতেও আর বেশি বাকি নেই। পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও।

কেন্দ্রীয় বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০ জন৷ একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪৪২ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৭০ হাজার ৫১০ এবং মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৫৫। এদিকে, দেশের সংক্রমণের হার আপাতত রয়েছে ৫.১৯ শতাংশে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ১১.০৫ শতাংশ। এদিকে, দেশের এখন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৬৮ এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮০৫ জন। মোট টিকার ডোজ হয়েছে ১৫৩ কোটি ৮০ লক্ষ ০৮ হাজার ২০০, গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৮৫ লক্ষ ২৬ হাজার ২৪০ ডোজ। দেশে করোনা এবং ওমিক্রন আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রই।

অন্যদিকে, তথ্য অনুযায়ী, বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২১ হাজার ০৯৮ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৬ হাজার ৫৬৫ জন। সংক্রমণের নিরিখে তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ৪ হাজার ০১৬ জন। ফলে গোটা রাজ্য জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৩০ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৯৩৬ জনের। পজিটিভিটি রেট প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে আগের থেকে। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ০৩৭ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ওমিক্রন আক্রান্তের ৭৫% মেট্রো শহরের, সংক্রমণ ছাড়াল ৩৭ হাজার

ওমিক্রন আক্রান্তের ৭৫% মেট্রো শহরের, সংক্রমণ ছাড়াল ৩৭ হাজার

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ সেই আগের মতো লাগামছাড়ার দিকে চলে যাচ্ছে আবার। নয়া প্রজাতি ওমিক্রনও হু হু করে বৃদ্ধি করছে সংক্রমণ। সব মিলিয়ে ভারতের দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে ব্যাপক হারে উদ্বেগ বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের ৭৫ শতাংশই মেট্রো শহরের বাসিন্দা। যা বাড়তি উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। গতকাল হিসেব অনুযায়ী দেশের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল ৪৩১ শতাংশ! গতকালের দৈনিক আক্রান্তের থেকে আজ আবার বাড়ল সংক্রমণ।

তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৭৯। তবে ব্যাপক স্বস্তি দিয়ে দৈনিক মৃত্যু আজও অনেকটা কম। আজ মৃত্যু হয়েছে ১২৪ জনের। সব মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ ৬০ হাজার ২৬১ জন, এবং মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৮২ হাজার ০১৭ জন। এদিকে, ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯২ যার মধ্যে সুস্থ ৭৬৬ জন। দেশের মোট ওমিক্রন আক্রান্তের ৭৫ শতাংশই মুম্বই, দিল্লি, কলকাতার বাসিন্দা। ওমিক্রন সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত ৫৬৮ জন। তার পরই রয়েছে দিল্লি ৩৮২ জন। অন্যদিকে, দেশের মোট সংক্রমণের হার এই মুহূর্তে ৩.২৪ শতাংশ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লাফে অনেকটা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৩০। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ০৭ জন।

দেশের যা পরিস্থিতি তাতে ইতিমধ্যেই কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান চিকিৎসক এন কে অরোরা জানিয়েছেন, ভারতে কোভিড তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ পদে থাকা কোনও আধিকারিক তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ের কথা স্বীকার করে নিলেন৷ সার্বিকভাবে সংক্রমণের নিরিখে শুরু থেকেই দেশে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত৷ গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২২ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একলাফে ৩৫% বাড়ল দেশের কোভিড সংক্রমণ! ওমিক্রন প্রায় ১,৫০০

একলাফে ৩৫% বাড়ল দেশের কোভিড সংক্রমণ! ওমিক্রন প্রায় ১,৫০০

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি আবার উদ্বেগজনক জায়গায় চলে গিয়েছে তার কারণ ওমিক্রন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আগেই একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে ডেল্টার থেকে এই প্রজাতি অনেক বেশি সংক্রামক। সেই প্রেক্ষিতেই বাড়ছে সংক্রমণ। আজ নয়া বছরের প্রথম দিনে দেশের দৈনিক আক্রান্তে বিরাট বৃদ্ধি হল। একই সঙ্গে বাড়ল ওমিক্রন আক্রান্ত। সব মিলিয়ে দেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশে আক্রান্ত হয়েছে ২২ হাজার ৭৭৫ জন। একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪০৬ জনের। সব নিয়ে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৬৯ জন, মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৮৬ জনের। শুক্রবার দৈনিক আক্রান্ত ছিল ১৬ হাজার ৭৬৪। অর্থাৎ শুক্রবারের তুলনায় শনিবার ৩৫ শতাংশ বেড়েছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। এদিকে, দেশে ১ হাজার ৪৩১ জন ইতিমধ্যেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৩টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট। দেশের সংক্রমণের হার এই মুহূর্তে ৫.১৩ শতাংশ, গত ২৪ ঘন্টায় তা ছিল ২.০৫ শতাংশ।

সরকারি সূত্র ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে, ভারতে ডেল্টাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলিতে আগে থেকেই ডেল্টাকে ছাপিয়ে গিয়েছে এই প্রজাতি। এবার ভারতেও একই জিনিস হতে শুরু করেছে বলেই দাবি করা হচ্ছে। আমেরিকা ছাড়া উইরোপের একাধিক দেশে এখন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কোথাও কোথাও তা দৈনিক ১ লক্ষ হচ্ছে। তার জন্য যে পুরোপুরি ওমিক্রন দায়ি তা স্পষ্ট। এবার আশঙ্কা, ভারতেও যদি এইভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে দৈনিক সংক্রমণ আমেরিকার সমতুল্য হতে বেশিদিন সময় লাগবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যু কমল দেশে, ওমিক্রন গ্রাফে হেরফের

দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যু কমল দেশে, ওমিক্রন গ্রাফে হেরফের

নয়াদিল্লি: সার্বিকভাবে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মনে হলেও ভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে চিন্তা বেড়েই চলেছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আজ একটু কমেছে, হ্রাস পেয়েছে দৈনিক মৃত্যুও। তবে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ। তথ্য বলছে, ইতিমধ্যেই ১১৭ দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের ওমিক্রন গ্রাফও খুব একটা স্বস্তি দিচ্ছে না। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। উৎসব মরশুমের পর আরও বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যা বলে আশঙ্কা।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৫৮ জন এবং একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৯৩ জনের, এর মধ্যে কেরলে ২৩৬। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৯১ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ২৯০ জনের। এদিকে, দেশে আপাতত ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫৩ জন, যার মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৮৩ জন। এছাড়া দেশে এখন সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭৫ হাজার ৪৫৬ জন। ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৪২ কোটি ৪৬ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৩৬ ডোজ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ৭২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫৪৭ ডোজ। দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার এই মুহূর্তে ৫.১৬ শতাংশ, গত ২৪ ঘণ্টায় তা ০.৬১ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, ওমিক্রন কাবু হতে পারে, এমন চার ধরণের অ্যান্টিবডির খোঁজ মিলেছে মানব শরীরে।  যাঁরা আগে করোনাভাইরাসের ভিন্ন রূপে আক্রান্ত হয়েছেন বা সংক্রমিত হওয়ার পর টিকা নিয়ে ফের সংক্রমিত হয়েছেন কিংবা সংক্রমিত না হয়েও কোভিড টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তাঁদের সকলের দেহেই এই চারটি শ্রেণির অ্যান্টিবডির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে করোনার অন্য কোনও রূপ এলেও এই অ্যান্টিবডির গুলির সাহায্যে টিকা বা ওষুধ তৈরি করে সেই প্রজাতিকে হারানো যাবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। এই নয়া তথ্য প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার’-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

৭ হাজারের নীচেই দেশের দৈনিক সংক্রমণ, টিকার হার বাড়ল

৭ হাজারের নীচেই দেশের দৈনিক সংক্রমণ, টিকার হার বাড়ল

নয়াদিল্লি: ওমিক্রন সংক্রমণের মাঝেও দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আপাতত স্বস্তি বজায় থাকল। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা একটু চিন্তা বাড়ালেও সার্বিকভাবে দেশের পরিসংখ্যান নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আজ দেশের দৈনিক সংক্রমণ ৭ হাজারের নীচে রয়েছে। এদিকে ধীরে ধীরে বাড়ছে টিকাকরণের হার। তবে এখনো পর্যন্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অবলম্বন করছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার গুলি। কারণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সংক্রমণ যে পরবর্তী ক্ষেত্রে বাড়তে পারে তার আশঙ্কাও রয়েছে।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ দেশের ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৫১ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩৭৪ জনের। সব মিলিয়ে দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৭২ হাজার ৬২৬ জন এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ১৩৩। এদিকে দেশের সংক্রমণের হার কিঞ্চিৎ কমে হয়েছে ৫.১৯ শতাংশ এবং সেই হার গত একদিনে ০.৫৮ শতাংশ। পাশাপাশি দেশের মোট টিকাকরণের সংখ্যা ১৪০ কোটি ৩১ লক্ষ ৬৩ হাজার ০৬৩ ডোজ, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৫২ ডোজ। যদিও দেশের মোট মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গবেষকদের একাংশের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে কারণ তাদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক তথ্য সামনে আনছে না।

প্রসঙ্গত, এরই মধ্যেই আবার জল্পনা বৃদ্ধি হয়েছে যে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নয়া প্রজাতি ‘ডেলমিক্রন’। এই নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশীর মন্তব্যের পর। চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশী জানাচ্ছেন, ডেলমিক্রন নাকি এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় ছোটখাটো সুনামি এনেছে। এটিই করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি। এর কারণে আগামী দিনে বড় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হতে চলেছে। তাঁর কথায়, ডেল্টা এবং ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিন মিশে গিয়ে এই নয়া প্রজাতি সৃষ্টি হয়েছে যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। যদিও, আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলও এখনও এই নিয়ে মুখ খোলেনি। এদিকে, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ও এই নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

৮ হাজারের নীচেই থাকল সংক্রমণ, দেশের দৈনিক মৃত্যুও কম

৮ হাজারের নীচেই থাকল সংক্রমণ, দেশের দৈনিক মৃত্যুও কম

নয়াদিল্লি: ওমিক্রন সংক্রমণের মাঝেও দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আপাতত স্বস্তি বজায় থাকল। আজও দেশের দৈনিক সংক্রমণ ৮ হাজারের নীচে রয়েছে এবং কমেছে মৃত্যুও। এদিকে ধীরে ধীরে বাড়ছে টিকাকরণের হার। তবে এখনো পর্যন্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অবলম্বন করছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার গুলি। কারণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সংক্রমণ যে পরবর্তী ক্ষেত্রে বাড়তে পারে তার আশঙ্কাও রয়েছে।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ দেশের ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৭৭৪ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩০৬ জনের। সব মিলিয়ে দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৫১০ জন এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৩৪। এদিকে দেশের সংক্রমণের হার কিঞ্চিৎ বেড়ে হয়েছে ৫.২৯ শতাংশ এবং সেই হার গত একদিনে ০.৬৫ শতাংশ। পাশাপাশি দেশের মোট টিকাকরণের সংখ্যা ১৩২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৩০ ডোজ, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭৮৪ ডোজ। যদিও দেশের মোট মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গবেষকদের একাংশের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে কারণ তাদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক তথ্য সামনে আনছে না।

প্রসঙ্গত, ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও বেশি সংক্রামক বলে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ তবে এর মারন ক্ষমতা অনেকটাই কম৷ ওমিক্রন ভ্যাকসিনকেও ফাঁকি দিতে পারে বলে জানিয়ে দিলেন বিশেষজ্ঞরা৷ কমাতে পারে টিকার কার্যকারিতা৷ এখনও পর্যন্ত যে তথ্য্ পাওয়া গিয়েছে তাতে, ‘ওমিক্রন’ ডেল্টার চেয়েও অধিক সংক্রামক হওয়ায় জনগোষ্ঠীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রয়েছে৷ ফলে গোষ্ঠী সংক্রমণ দেখা দিতেই পারে৷ সেই সঙ্গে ফাঁকি দিতে পারে টিকার সুরক্ষা বলয়কেও। তবে কতটা ফাঁকি দিতে সক্ষম হবে, সেটাই দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

৯ হাজারের নীচেই সংক্রমণ বহাল দেশে, নতুন প্রজাতি নিয়েই চিন্তা

৯ হাজারের নীচেই সংক্রমণ বহাল দেশে, নতুন প্রজাতি নিয়েই চিন্তা

নয়াদিল্লি: দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজারের নিচে রয়েছে আজ কিন্তু নতুন প্রজাতি নিয়ে চিন্তা বহাল। এখনই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয় কেন্দ্রীয় সরকার তাই টিকাকরণের জোর দেওয়া হচ্ছে এবং যথেষ্ট সর্তকতা পালনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চিঠি দিয়ে নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে যথেষ্ট সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে গোটা দেশজুড়ে।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬০৩ জন এবং এই একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৪১৫ জনের। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, গত একদিনে গোটা দেশে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ১৯০ জন এবং এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৯ হাজার ৯৭৪ জন; বিগত কয়েকদিন ধরেই এক লক্ষের নিচে রয়েছে এই সংখ্যা। সব মিলিয়ে দেশের মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৩০ জন। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি এই তথ্য একেবারেই সঠিক নয়। কেন্দ্রীয় সরকার আসলে মৃত্যুর তথ্য লুকিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। যদিও সেই ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত পোক্ত কোনও প্রমাণ মেলেনি। এদিকে এখনো পর্যন্ত দেশে প্রায় ১২৬ কোটি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে এবং এর মধ্যে গতকাল হয়েছে প্রায় ৭৪ লক্ষ।

ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতি নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গুলিকে নির্দেশিকা চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা বিমানযাত্রীদের উপর নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং একইসঙ্গে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এখনো ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং জানার চেষ্টা করা হচ্ছে যে আদতে ভ্যাকসিন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করবে কিনা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলে তা অবশ্যই কিছুটা হলেও সাহায্য করবে রোগীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুইই কম, ওমিক্রন আতঙ্ক বহাল দেশে

আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুইই কম, ওমিক্রন আতঙ্ক বহাল দেশে

নয়াদিল্লি: নতুন প্রজাতির আতঙ্কের মাঝেই দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও কিছুটা শান্তি দিচ্ছে দেশবাসীর মনে। কারণ আজও আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই কমেছে তুলনামূলকভাবে। কিন্তু ওমিক্রন আতঙ্ক বহাল থাকছে দেশ তথা বিশ্ব জুড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে ৩১ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই নতুন প্রজাতি এবং তার মধ্যে রয়েছে ভারতে। কেন্দ্র গতকাল জানিয়ে দিয়েছিল যে ভারতে এই প্রজাতির খোঁজ মিলেছে এবং এতক্ষণে একাধিক জন আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে।

দেশের করোনাভাইরাস রিপোর্ট বলছে, আজ গোটা দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২১৬ জন। এই একই সময়ে দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩১৯ জনের। বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাস চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৯৯ হাজার ৯৭৬ জন। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত দেশে মোট ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬৬৬ জন ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে পেরেছেন যার মধ্যে গত এক দিনে মুক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬১২ জন। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৬.৩৬ শতাংশ।

এদিকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে নয়া গাইডলাইন জারি করেছে। নতুন প্রজাতির আতঙ্ক বাড়তে থাকায় প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে সতর্ক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, টেস্টিং যেন আগের থেকে বাড়ানো হয় এবং হটস্পট এলাকা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি নতুন করে যারা ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বিশেষ নজরদারিতে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পর্যাপ্ত আইসোলেশনের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজন অনুযায়ী কনটেইনমেন্ট জোন বানিয়ে নিতে। একই সঙ্গে টিকাকরণ যাতে দ্রুত গতিতে চালু রাখা যায় সেদিকেও নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে, যারা এখনো পর্যন্ত প্রথম টিকা নেওয়ার পর দ্বিতীয় টিকা নেননি, তারা যেন তাড়াতাড়ি নিয়ে নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

৭ হাজারের নীচে দৈনিক সংক্রমণ দেশে! মৃত্যুও কমল অনেকটা

৭ হাজারের নীচে দৈনিক সংক্রমণ দেশে! মৃত্যুও কমল অনেকটা

নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির আতঙ্ক রয়েছে কিন্তু তার মধ্যেই দেশের দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমল অনেকটাই। আজ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজারের নিচে নেমে গিয়েছে। দৈনিক মৃত্যুও কমেছে ২০০-র নীচে। সব মিলিয়ে বড় রকমের শান্তি পেয়েছে দেশবাসী। যদিও এখনই আগের মতো হাল ছেড়ে দেওয়ার কোন ব্যাপার হয়নি বলে বারবার সতর্ক করছেন বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা।

আজকের ভারতের করোনাভাইরাস তথ্য বলছে, একদিনে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৯০ জন এবং একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯০ জনের। সব মিলিয়ে ভারতের মোট ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮২২ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯৮০ জনের। যদিও গবেষকদের একাংশের মতে মৃত্যুর তথ্য একেবারেই ঠিক নয় কারণ এর থেকেও বেশি মৃত্যু হয়েছে ভারতে যা সরকারি পরিসংখ্যানে আসেনি। এদিকে টিকাকরণের আরো বেশি জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার কারণ নতুন প্রজাতির ভয় রয়েছে। আপাতত দেশে ১২৩ কোটি ২৫ লক্ষ ০২ হাজার ৭৬৭ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে এবং শেষ একদিনে দেওয়া হয়েছে ৭৮ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৪৫ ডোজ। দেশের এই মুহূর্তে সংক্রমণের হার ৫.৩৯ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সেই হার ০.৬৯ শতাংশ। 

ওমিক্রন আতঙ্ক থাকলেও বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে যে এই প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা আখেরে ভালো হতে পারে কারণ এটি ডেল্টা ভাইরাসকে সরিয়ে প্রাথমিক সংক্রামক ভাইরাস হয়ে উঠবে। এটি বেশি সংক্রামক হলেও বিপদ অনেক কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা তাই তাদের মতে এই ভাইরাস বেশি ছড়ালে তা ‘শাপে বর’ হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত এই প্রজাতিকে নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দিয়ে দিয়েছে ভারত সহ অন্যান্য দেশগুলিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফের ১০ হাজার ছাড়াল দেশের দৈনিক আক্রান্ত, সিংহভাগ সংক্রমণ কেরলে

ফের ১০ হাজার ছাড়াল দেশের দৈনিক আক্রান্ত, সিংহভাগ সংক্রমণ কেরলে

নয়াদিল্লি: বিগত কিছুদিন দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা চার সংখ্যায় নেমে গিয়েছিল। কিন্তু আজ ফের ভারতের দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেল। যদিও এই আক্রান্তের সিংহভাগ কেরল রাজ্যের তাই সেই রাজ্য নিয়ে উদ্বেগ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে যে দেশের বাকি রাজ্যের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এখন আরও একটি নতুন করোনাভাইরাস প্রজাতির সন্ধান মিলেছে জানিয়ে চিন্তায় রয়েছে দেশের স্বাস্থ্য দফতর।

আজ দেশের করোনাভাইরাস পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ঘটেছে ১০ হাজার ৫৪৯ জনে, এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪৮৮ জনের। সব মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৩১ জন, এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪৬৮ জন। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই তত্ত্ব একেবারেই ভুল কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে না। গত বছর থেকে আজ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে এর থেকে অনেক বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে তারা। উল্লেখ্য, দেশের মোট সংক্রমণের বেশিরভাগ আক্রান্ত হয়েছে কেরলে। সেই রাজ্যের আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু ৩৮৪ জনের! বাকি রাজ্যগুলির অবস্থান তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ নিয়ে ইতিমধ্যেই সর্তকতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং সব রাজ্যগুলিকে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ইস্যুতে কেন্দ্রে তরফে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক যাত্রা থেকে শুরু করে ভিসার কড়াকড়ি এখন অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে এই কারণে। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং হংকংয়ে এই নতুন প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে কয়েকদিন আগেই। মনে করা হচ্ছে এই নতুন প্রজাতি থেকেই করোনাভাইরাস চতুর্থ ঢেউ আসতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

২০২০ মার্চের পর সর্বোচ্চ সুস্থতা দেশে! অ্যাকটিভ কেস ৫২৩ দিনে সর্বনিম্ন

২০২০ মার্চের পর সর্বোচ্চ সুস্থতা দেশে! অ্যাকটিভ কেস ৫২৩ দিনে সর্বনিম্ন

নয়াদিল্লি: গতকালের তুলনায় আজ দেশের দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও কিঞ্চিৎ উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে দৈনিক মৃত্যু নিয়ে। আজ ১২ হাজারের গণ্ডি থেকে নেমেছে দৈনিক আক্রান্ত। তবে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বাড়ল অনেকটা। ১১ হাজারের আশেপাশে রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে একদিনে হঠাৎ অনেকটা মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার উদ্বেগ বেড়েছে! তাই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও যে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ২২৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৩৬ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১২৫ জনের। এই নিয়ে মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৫৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৯২৬ জন। মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭৮৫ জন। দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ০৯৬ জন, যা ৫২৩ দিনে সবচেয়ে কম। এদিকে, এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ১১২ কোটি ৩৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৭৮ ডোজ, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৩০ লক্ষ ২০ হাজার ১১৯ ডোজ। এদিকে, দেশের সুস্থতার হার ২০২০ সালের মার্চ মাসের নিরিখে সর্বোচ্চ। এখন সুস্থতা ৯৮.২৬ শতাংশ। তবে কেরলের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা রয়েই যাচ্ছে। সেই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৫ হাজার ৮৪৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।

যদিও বিশেষজ্ঞদের এক নয়া দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। এত দিনে আদতে কতজনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মৃত্যু ঘটেছে তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে আসছে না বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, সরকারি রিপোর্ট করোনাভাইরাস মৃত্যু নিয়ে যা বলছে তা সঠিক নয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাস সংক্রমণে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখনো পর্যন্ত গোটা দেশে কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দৈনিক মৃত্যু অনেকটা বাড়ল দেশে! অ্যাকটিভ কেস ২৭৪ দিনে সর্বনিম্ন

দৈনিক মৃত্যু অনেকটা বাড়ল দেশে! অ্যাকটিভ কেস ২৭৪ দিনে সর্বনিম্ন

নয়াদিল্লি: গতকালের তুলনায় আজ দেশের দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও কিঞ্চিৎ উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে দৈনিক মৃত্যু নিয়ে। আজ ১২ হাজারের গণ্ডি থেকে নেমেছে দৈনিক আক্রান্ত। তবে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বাড়ল অনেকটা। ১১ হাজারের আশেপাশে রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে একদিনে হঠাৎ অনেকটা মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার উদ্বেগ বেড়েছে! তাই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও যে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৫০ জন। যার মধ্যে কেরলেই আক্রান্ত ৬ হাজার ৬৭৪ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৫৫৫ জনের, যা অনেকটা বেশি আগের তুলনায়। এর মধ্যে ৫৯ জন মারা গিয়েছেন কেরলে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১২ হাজার ৪০৩ জন। মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৮৩ জন। অন্যদিকে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৪৫ জন। দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩০৮ জন, যা ২৭৪ দিনে সর্বনিম্ন। এদিকে, এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ১১১ কোটি ৪০ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৩৪ ডোজ, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৫৮ লক্ষের বেশি ডোজ।

এদিকে রয়েছে বড় সুখবর। ভারতে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ৭৭.৮ শতাংশ তা স্বীকার করেছে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিন ল্যানসেট। জানানো হয়েছে, দু’টি কোভ্যাক্সিন টিকা নেওয়ার দু’সপ্তাহ পরে দেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর এখন যে এই ভ্যাকসিন নিয়ে আর কোনও রকম বিতর্ক থাকল না তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে। একাধিক ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পেয়ে গেলেও এতদিন পর্যন্ত পাচ্ছিল না ভারতের তৈরি করোনাভাইরাস টিকা, কোভ্যাক্সিন। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে আরও কিছু ব্যাপারে উত্তর চেয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই তথ্য পরীক্ষা করে দেখেই এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দৈনিক মৃত্যু বাড়ল দেশে, তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক যাচ্ছে না এখনই

দৈনিক মৃত্যু বাড়ল দেশে, তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক যাচ্ছে না এখনই

নয়াদিল্লি: উৎসব কেটে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল যে দেশের কোভিড গ্রাফ হালকা হলেও বাড়বে। তবে তা গত কয়েকদিনে নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু আজ আবার খানিকটা বেড়ে গেল উদ্বেগ। কারণ অ্যাকটিভ কেস কমলেও বাড়ল দৈনিক মৃত্যু। তবে সবথেকে বেশি শঙ্কা বাড়াচ্ছে কেরল। সেই রাজ্যে সংক্রমণ এবং মৃত্যু হ্রাস পাচ্ছে না কিছুতেই। তাই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও যে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৬৬ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪৬০ জনের, যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এর মধ্যে আবার ৩৮৪ জনই কেরলে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৯৬১ জন। মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ০৪৬ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫৭৯ জন। অন্যদিকে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৪৯ জন। দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৮৩ জন। দেশের সংক্রমণের হার ৫.৫৬ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সেই হার ০.৯০ শতাংশ। এদিকে, দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ১০৯ কোটি ৬৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ২০৮ ডোজ, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৫২ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৩৭ ডোজ। 

উল্লেখ্য, কেরল ছাড়া দেশের বাকি সব রাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের কম রয়েছে। কেরলের পরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ৯৮২ জনের শরীরে হদিশ মিলেছে ভাইরাসের। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। মহারাষ্ট্রের পরে রয়েছে কর্নাটক। সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৩। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে ৭০০-৯০০ মধ্যে থাকছে আক্রান্ত। মিজোরামে ৫২৫। বাকি রাজ্যগুলিতে আক্রান্ত ৫০০-র নীচে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দৈনিক আক্রান্তের গ্রাফে পতন, দেশের অ্যাকটিভ কেসেও স্বস্তি আজ

দৈনিক আক্রান্তের গ্রাফে পতন, দেশের অ্যাকটিভ কেসেও স্বস্তি আজ

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিন পর আজ আরও কিছুটা স্বস্তি বাড়ল দেশে কারণ দৈনিক সংক্রমণ ১ও হাজারের ঘরে চলে এসেছে আবার। অন্যদিকে টিকাকরণে আরো বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ অভিযান। সব মিলিয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার আবহেই একটু একটু করে স্বস্তি পাওয়ার লক্ষণ। এদিকে আরো বড় খবর যে, ২৬৩ দিন পর প্রথম বার সর্বনিম্ন হল অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১২৬ জন। যা সোমবারের তুলনায় ১১ শতাংশ কম। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩৩২ জনের, যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৯৮২ জন। মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৬ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ১১৩ জন। অন্যদিকে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৮১ জন। দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৬৩৮ জন। গত ২৬৩ দিনে এটাই সর্বনিম্ন। দেশের সংক্রমণের হার ৫.৫৭ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সেই হার ০.৯৩ শতাংশ। উল্লেখ্য, কেরল ছাড়া দেশের বাকি সব রাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের কম রয়েছে। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৪০৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।অন্যদিকে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশে সার্বিকভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬০৩ জন। রাজ্যের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৪৯ জন কলকাতার! অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিনও প্রথমে তিলোত্তমা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে আক্রান্ত অনেকটা বেড়ে ১৩৮ জন। এরপরে রয়েছে হাওড়া, সেখানে আক্রান্ত ৫০, এবং তার পরে হুগলি, আক্রান্ত ৪৬ জন। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ০৯১ জন। অন্যদিকে, একদিনে রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ২৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৮.৩০ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দেশের সংক্রমণ ১০ হাজারের ঘরে, দৈনিক মৃত্যুও কমল

দেশের সংক্রমণ ১০ হাজারের ঘরে, দৈনিক মৃত্যুও কমল

নয়াদিল্লি: দীপাবলীর দপর খানিকটা স্বস্তি বাড়ল দেশে কারণ আজ দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের ঘরে চলে এসেছে আবার। অন্যদিকে টিকাকরণে আরো বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ অভিযান। সব মিলিয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার আবহেই একটু একটু করে স্বস্তি পাওয়ার লক্ষণ। এদিকে আরো বড় খবর যে, ফেব্রুয়ারির পর প্রথম বার দেড় লক্ষের নীচে নামল অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯২৯ জন। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে ১৪.১৪ শতাংশ কম। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩৯২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১২ হাজার ৫০৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৮৩ জন। অন্যদিকে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ২৬৫ জন। দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৫০ জন। দেশের মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৬৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের সংক্রমণের হার ৫.৬০ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তা ১.৩৫ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১০৭ কোটি ৯২ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৪৬ ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে মাত্র ২০ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষকে।

এদিকে, গতকাল বাংলায় সংক্রমিত হয়েছেন ৭৬৩ জন। রাজ্যের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২০৩ জন কলকাতার! অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে প্রথমে তিলোত্তমা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে আক্রান্ত অনেকটা বেড়ে ১৪৫ জন। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লক্ষ ৯৭ হাজার ০৯৫ জন। অন্যদিকে, একদিনে রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে অ্যাকটিভ কেস ৮ হাজার ১৩৭ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাড়ল দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা! দেশের অ্যাকটিভ কেসে স্বস্তি

বাড়ল দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা! দেশের অ্যাকটিভ কেসে স্বস্তি

নয়াদিল্লি: দীপাবলীর দিন খানিকটা অস্বস্তি বাড়ল দেশে কারণ আজ দৈনিক সংক্রমণ ১২ হাজারের ওপরে চলে এসেছে আবার। অন্যদিকে টিকাকরণে আরো বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ অভিযান। সব মিলিয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার আবহেই একটু একটু করে স্বস্তি পাওয়ার লক্ষণ। এদিকে আরো বড় খবর যে, ফেব্রুয়ারির পর প্রথম বার দেড় লক্ষের নীচে নামল অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৮৫ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪৬১ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ২১ হাজার ০২৫ জন। অন্যদিকে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৫২ জন। দেশের দৈনিক মৃত্যুর অধিকাংশই হয়েছে কেরলে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৭৯ জন যা, গত ফেব্রুয়ারি মাসের পর সর্বনিম্ন। দেশের মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৪০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের সংক্রমণের হার ৫.৬০ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তা ১.২১ শতাংশ। 

অন্যদিকে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ১২ হাজার ৭৯৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪ জন। এদিকে, দেশে মোট ১০৭ কোটি ৬৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৪০ ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৩০ লক্ষের বেশি। উল্লেখ্য, গতকালই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাক্সিন’কে। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর গতকাল এই অনুমোদন মিলেছে যা দেশবাসীর জন্য স্বস্তির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সামান্য স্বস্তি দেশে, মৃত্যু-সংক্রমণ দুইই নিম্নমুখী

সামান্য স্বস্তি দেশে, মৃত্যু-সংক্রমণ দুইই নিম্নমুখী

নয়াদিল্লি: উৎসব আবহে আতঙ্ক ধীরে ধীরে যে বাড়ছে তা করোনাভাইরাস দৈনিক পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে স্পষ্টভাবেই। তবে আজ দৈনিক আক্রান্ত তুলনায় কিছুটা কম এবং মৃত্যুও কমেছে। বিগত কয়েক দিনে পরিসংখ্যান দেখে মনে হচ্ছিল পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিন্তু হঠাৎ দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্ক বেড়েছিল। তাই অবশ্যভাবে বোঝা যাচ্ছে যে আতঙ্কের পরিবেশ এখনও পর্যন্ত কাটেনি এবং আগামী দিনে সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সতর্ক এবং সচেতন হয়েই থাকতে হবে। 

কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, আজ দেশে নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৫১৪ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৫১ জনের! এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ৭১৮ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৬০ জন। আবার মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮১৪ জন। এদিকে, দেশে এখন সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮১৭ জন, যা গত ২৪৮ দিনে সর্বনিম্ন। এই মুহূর্তে তা ০.৪৭ শতাংশ। মোট মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪৩৭ জন। দেশের মোট ভ্যাকসিন ডোজ ১০৬ কোটি ৩১ লক্ষ ২৪ হাজার ২০৫। উদ্বেগের ব্যাপার, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ১২,৫১৪ জনের মধ্যে কেরলেই সংক্রমিত ৭ হাজার ১৬৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৬৭ জনের।

এরই মাঝে স্বস্তি খবর হল, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকা স্বীকৃতি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। গত মাসেই পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল সে দেশে। এবার তারা কোভ্যাক্সিনকেও স্বীকৃতি দিল। যদিও কোভ্যাক্সিনকে এখনও অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তুলনায় কমল দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু, সুস্থতায় স্বস্তি দেশে

তুলনায় কমল দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু, সুস্থতায় স্বস্তি দেশে

নয়াদিল্লি: উৎসব আবহে আতঙ্ক ধীরে ধীরে যে বাড়ছে তা করোনাভাইরাস দৈনিক পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে স্পষ্টভাবেই। তবে আজ দৈনিক আক্রান্ত গতকালের তুলনায় কিছুটা কম এবং মৃত্যুও কমেছে। বিগত কয়েক দিনে পরিসংখ্যান দেখে মনে হচ্ছিল পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিন্তু হঠাৎ দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্ক বেড়েছিল। তাই অবশ্যভাবে বোঝা যাচ্ছে যে আতঙ্কের পরিবেশ এখনও পর্যন্ত কাটেনি এবং আগামী দিনে সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সতর্ক এবং সচেতন হয়েই থাকতে হবে। 

কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, আজ দেশে নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩১৩ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৫৪৯ জনের! মৃত্যুর সংখ্যার মধ্যে ৪৭১ জনই কেরলের! এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ হাজার ৫৪৩ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৪১ হাজার ১৭৫ জন। আবার মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৭০ জন। এদিকে, দেশে এখন সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৫৫ জন, যা গত মার্চ থেকে সর্বনিম্ন। এই মুহূর্তে তা ০.৪৭ শতাংশ। মোট মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৪০ জন। দেশের মোট সংক্রমণের হার এই মুহূর্তে ৫.৬৪ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘন্টায় সেই হার ১.২২ শতাংশ। 

অন্যদিকে, ​​​​​​শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮২ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ৯১ লক্ষ ০১৪ জন। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ১১৩ জনের। এই মুহূর্তে রাজ্যের সংক্রমণের হার ৮. ৩২ শতাংশ, এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণের হার ২.০০ শতাংশ। এদিন কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ২৭৩ জন এবং এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ১৬১ জন। এর পাশাপাশি বাকি জেলাগুলিতেও কমবেশি ভাইরাস আক্রান্তের হদিস মিলেছে। তথ্য অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত রাজ্যের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ২২৩ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দেশে ২০% সংক্রমণ বৃদ্ধি, ৭০০ ছাড়াল দৈনিক মৃত্যু! প্রবল উদ্বেগ

দেশে ২০% সংক্রমণ বৃদ্ধি, ৭০০ ছাড়াল দৈনিক মৃত্যু! প্রবল উদ্বেগ

নয়াদিল্লি: উৎসব আবহে আতঙ্ক ধীরে ধীরে যে বাড়ছে তা করোনাভাইরাস দৈনিক পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে স্পষ্টভাবেই। বিগত কয়েক দিনে পরিসংখ্যান দেখে মনে হচ্ছিল পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিন্তু হঠাৎ দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্ক বেড়েছে। আজ নতুন করে যেমন বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ ঠিক তেমনি বাড়লো মৃতের সংখ্যাও। তাই অবশ্যভাবে বোঝা যাচ্ছে যে আতঙ্কের পরিবেশ এখনও পর্যন্ত কাটেনি এবং আগামী দিনে সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সতর্ক এবং সচেতন হয়েই থাকতে হবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, আজ দেশে নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ১৫৬ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৭৩৩ জনের! এই মুহূর্তে দেশের মোট অ্যাক্টিভ করোনাভাইরাস কেস আছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৮৯। এদিকে এখনো পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৩৪ জন এবং গত ১ দিনে সেই সংখ্যা ১৭ হাজার ০৯৫ জন। দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৮৬ জন। এখনো পর্যন্ত দেশে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৩১ হাজার ৪০৯ জন। দেশের মোট সংক্রমণের হার এই মুহূর্তে ৫.৬৬ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘন্টায় সেই হার ১.২৫ শতাংশ। 

সবথেকে চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান, দেশের দৈনিক মৃত্যুর সিংহভাগ কেরলের। কারণেই রাজ্যেই গত ১ দিনে মারা গিয়েছেন ৬২২ জন! অন্যদিকে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং পশ্চিমবঙ্গের মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৮, ১৩ এবং ১৫। উৎসব মরশুমের আবহে অবশ্য ভাবে এই পরিসংখ্যান দেশবাসীর চিন্তা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে কারণ টিকাকরণ কর্মসূচি চলার মাঝেও দৈনিক মৃত্যুর হঠাৎ বেড়ে যাচ্ছে। 

​​​​

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় বিরাট স্বস্তি! দেশের কোভিড গ্রাফ আরও নিম্নমুখী

দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় বিরাট স্বস্তি! দেশের কোভিড গ্রাফ আরও নিম্নমুখী

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে। আজ তুলনামূলক অনেক কম দৈনিক আক্রান্ত। একদিকে হয়েছে ১০০ কোটি টিকার ডোজের বিশ্ব রেকর্ড, অন্যদিকে রয়েছে দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান। সবমিলিয়ে স্বস্তি পাচ্ছে দেশবাসী। আজ আবার আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারের নিচে রয়েছে। উৎসব মরশুমে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা ছিল, কিন্তু আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ১২ হাজার ৪২৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৫৬ জনের। দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ০২ হাজার ২০২ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩১৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৫১ জন। এতদিনে মোট প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৮ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮১৬ জন। 

এদিকে, দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি আক্রান্ত কেরলে। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৫৬ জনের, যার মধ্যে ২৮১ জনই এই রাজ্যের। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৯ জন। গত বছর মার্চ মাসের পর এই প্রথম বার এতটা কমল আক্রান্তের সংখ্যা। আবার তামিলনাড়ুতে হাজারের বেশি থাকলেও কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও ৫০০-র নীচে নেমেছে দৈনিক সংক্রমণ। বাংলাতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৮০৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। একই সময়ে সুস্থ ৮০৭ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৩ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ধাক্কায় দৈনিক মৃত্যু কমল অনেকটাই, ১৬ হাজারের নিচে সংক্রমণ দেশে

এক ধাক্কায় দৈনিক মৃত্যু কমল অনেকটাই, ১৬ হাজারের নিচে সংক্রমণ দেশে

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার দৈনিক সংক্রমণ তুলনামুলক কম যা স্বস্তি বাড়াচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের নিচে রয়েছে আজও। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। যদিও আশঙ্কার মাঝেই এই পরিসংখ্যান স্বস্তি বাড়াচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৯৮১ জন। একই সময় ১৭ হাজার ৮৬১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৬৬ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৭৩ জন। মোট সুস্থতার সংখ্যা ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৬১ জন। এতদিনে মোট প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৮০ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ০১ হাজার ৬৩২ জন। ইতিমধ্যে ৯৭ কোটি ২৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ০৪৫ জন করোনা ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা পেয়েছেন ৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ১১৮ জন। 

এদিকে জানা গিয়েছে, দেশের ১০০ কোটি টিকাকরণ সম্পন্ন হতে বাকি রয়েছে মাত্র ৩ কোটি। নির্দিষ্ট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছে, এবং কমপক্ষে ৩০ শতাংশ দুটি ডোজ পেয়েছে। প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ১০০ কোটি টিকাকরণ সম্পন্ন করতে পারবে দেশ। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেই সময়ের অনেক আগেই এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতে পারা যাবে। তাই এদের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করে ফেলেছে যে এই মাইলফলক পার করলে কী ভাবে উদযাপন করা হবে। জানা গিয়েছে, ট্রেন, বিমান এবং জাহাজে এই তথ্যের ঘোষণা করা হবে এবং একই সঙ্গে লালকেল্লায় উঠবে জাতীয় পতাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দেশে ২০ হাজারের নিচে দৈনিক সংক্রমণ, অ্যাকটিভ কেস ২০৬ দিনে সর্বনিম্ন

দেশে ২০ হাজারের নিচে দৈনিক সংক্রমণ, অ্যাকটিভ কেস ২০৬ দিনে সর্বনিম্ন

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার দৈনিক সংক্রমণ তুলনামুলক কম যা স্বস্তি বাড়াচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের নিচে রয়েছে আজ। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। যদিও আশঙ্কার মাঝেই এই পরিসংখ্যান স্বস্তি বাড়াচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ১৯ হাজার ৭৪০ জন। একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৪৮ জনের। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৪৩ জন, যা ২০৬ দিনে সর্বনিম্ন। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৭.৯৬ শতাংশ। তবে ইতিমধ্যেই দেশে উৎসব মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে তাই আরও বেশি করে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ আশঙ্কা, এই সময় অসতর্ক হলেই বাড়তে পারে দৈনিক সংক্রমণ। কেন্দ্র চাইছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ১০০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দিতে। তাতে করোনা তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে আরও পরিণত হয়ে লড়াই করা যাবে। যদিও পুজোর মাঝে বাংলায় কয়েক দিন টিকাকরণ বন্ধ থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। 

অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হলে মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার, এমনটা জানান হয়েছে। রাজ্য সরকার গুলিকে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে এই টাকা খরচ করার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এতদিনে যতজনের মৃত্যু হয়েছে, এবং আগামী দিনে যাদের মৃত্যু হবে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা করে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে সেই টাকা দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

২০৩ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন করোনা অ্যাকটিভ কেস! দেশে স্বস্তি

২০৩ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন করোনা অ্যাকটিভ কেস! দেশে স্বস্তি

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার দৈনিক সংক্রমণ তুলনামুলক কম। এদিকে, ২০৩ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন করোনা অ্যাকটিভ কেস আজ। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। যদিও আশঙ্কার মাঝেই এই পরিসংখ্যান স্বস্তি বাড়াচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৮৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৮ হাজার ৭১৮ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৮৭ জন, যা ২০৩ দিনে সর্বনিম্ন। এদিকে দেশে একদিনে কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৮ জন। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনার বলি ৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৩৮ জন। দেশে মোট সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৫৬ জন। উল্লেখ্য, দেশে আপাতত মোট টিকাপ্রাপকের সংখ্যা ৯২ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। 

অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হলে মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার, এমনটা জানান হয়েছে। রাজ্য সরকার গুলিকে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে এই টাকা খরচ করার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এতদিনে যতজনের মৃত্যু হয়েছে, এবং আগামী দিনে যাদের মৃত্যু হবে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা করে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে সেই টাকা দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

২০৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন ভাইরাস সংক্রমণ! প্রবল স্বস্তিতে দেশ

২০৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন ভাইরাস সংক্রমণ! প্রবল স্বস্তিতে দেশ

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আজ আরও কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কমল দৈনিক সংক্রমণ। এদিকে, ২০৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন করোনা সংক্রমণ আজ। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। যদিও আশঙ্কার মাঝেই এই পরিসংখ্যান স্বস্তি বাড়াচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৯ হাজার ৬৩৯ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৯০২ জন। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হাত ৯৭.৯৩ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চের পর এটাই সর্বোচ্চ। দেশে মোট সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩১ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৮৬ জন। উল্লেখ্য, দেশে আপাতত মোট টিকাপ্রাপকের সংখ্যা ৯১ কোটি ৫৪ লক্ষের বেশি। অন্যদিকে, কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮৫০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪৯ জনের।  

অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হলে মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার, এমনটা জানান হয়েছে। রাজ্য সরকার গুলিকে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে এই টাকা খরচ করার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এতদিনে যতজনের মৃত্যু হয়েছে, এবং আগামী দিনে যাদের মৃত্যু হবে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা করে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে সেই টাকা দেওয়া হবে। তারা আদালতে এও জানিয়েছে, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

১৯৭ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাকটিভ কেস! কেরলের সংক্রমণ আতঙ্কের কারণ

১৯৭ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাকটিভ কেস! কেরলের সংক্রমণ আতঙ্কের কারণ

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আজ আরও কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে, ১৯৭ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা আজ। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। সেই কারণে ভ্যাক্সিনেশনে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ২৪ হাজার ৩৫৪ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৫ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮৮৯ জন। ১৯৭ দিনে সবথেকে কম এই সংখ্যা। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৯১ হাজার ০৬১ জন। দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৭৩ জনের। উল্লেখ্য, দেশে আক্রান্তের ২৪ হাজার ৩৫৪ জনের মধ্যে স্রেফ কেরলেই সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৩৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। আপাতত দেশের টিকাপ্রাপকের সংখ্যা ৮৯ কোটি ৭৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৫৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮৩৮ জন ভ্যাকসিন পেয়েছেন। 

এদিকে চরম সুখবর দিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্ট। তিনি জানাচ্ছেন, জিনের গঠনমূলক পরিবর্তনের ফলেই এমনটা হতে চলেছে। ভবিষ্যতে করোনার আরও বেশি প্রাণঘাতী হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কম বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও বলছেন, আগামী দিনগুলিতে করোনা ভাইরাস আরও দুর্বল হতে থাকবে এবং শেষমেষ সেটি সাধারণ ‘ফ্লু’ ভাইরাস হয়ে থেকে যাবে। অন্যদিকে, মারণক্ষমতাও হ্রাস পাবে এই ভাইরাসের। অন্যদিকে, অতিরিক্ত ভিড় নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সংক্রমণ বাড়লে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *