কলকাতা: কথায় বলে ‘চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম’। আর কে না জানে, স্কুল পড়ুয়াদের নিজের বাড়ি ছাড়াও থাকে একটা করে ‘সেকেন্ড হোম’। স্কুল, যাকে দ্বিতীয় বাড়ি বলেই মনে করে ছেলেমেয়েরা, নিজের বাড়ির পর যেখানে বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি সময় কাটে, ‘চ্যারিটি’ বা প্রকৃত সদগুণের বিকালে তর ভূমিকাও কিছু কম নয়। ছেলেবেলায় স্কুলের শিক্ষাই ভবিষ্যতে পড়ুয়াদের জীবনের পথে চলার দিশা দেখায়। তাই স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের দিকে এবার বিশেষ করে দৃষ্টি দিল সরকার।
আরও পড়ুন- ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে লাগবে না বিজ্ঞান! নয়া নির্দেশিকা সর্বভারতীয় কাউন্সিলের
বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এবার থেকে স্কুল গুলিতে নেওয়া হবে আলাদা ক্লাস, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। এদিন এই নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল গুলি থেকে দুজন করে শিক্ষকের নমিনেশন চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের পর স্কুল গুলিতে ওই সব ক্লাস চালু করা হবে। মূলত, শৈশব ও কৈশোর থেকেই যাতে পড়ুয়ারা লিঙ্গ সমতা, পদার্থের অপব্যবহার রোধ এবং জীবনের নানা কায়দা কানুন রপ্ত করতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই নেওয়া হচ্ছে এই ধরণের উদ্যোগ।
আরও পড়ুন- চূড়ান্ত ব্যর্থতায় ঝুঁকে থেকেও সাফল্য! IAS অঞ্জলির জীবন যেন স্বপ্নের আরেক নাম
সরকারি দফতরের আদেশ অনুযায়ী এদিন মাধ্যমিক স্কুল গুলির জেলা আধিকারিকের কাছে চিঠি দিয়ে উপযুক্ত শিক্ষকের নমিনেশন চাওয়া হয়েছে। তবে এই ব্যবস্থা এখনই গোটা রাজ্যে অনুসৃত হচ্ছে না। জানা গেছে আপাতত মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার স্কুল গুলির আধিকারিকের কাছে শিক্ষক প্রেরণের দাবি জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার। এদিন তিনি বলেন, “ছাত্রছাত্রীর মধ্যে, বিশেষত গ্রামীণ ও দুঃস্থ এলাকায়, শারীরিক ও মানসিক সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ ইতিবাচক হবে বলেই মনে হয়।” তবে শুধু ওই তিনটি জেলা র মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজ্যের সব স্কুলগুলিকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।